একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে দেশে একশো কোটি পেরিয়েছে করোনাভাইরাস টিকার সংখ্যা। তবে সেটা শুধুমাত্র প্রথম ডোজ নিয়ে। অন্যদিকে রাজ্যগুলিকে চিঠি লেখা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজের টিকার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। তাই দ্রুত তা দিয়ে সম্পন্ন করা হোক। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হোক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ এই চিঠি পাঠিয়েছেন বলে খবর। চিঠি প্রাপকদের মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান–সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান ১২ সপ্তাহের। আর কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে চার সপ্তাহের ব্যবধান রাখা হয়েছে। সেখানে বহু মানুষ এখনও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি। তাই এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে দ্রুত সকলকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কো–উইন পোর্টালের তথ্য বলছে ১,২৪,৮২,০৯০ জনের মধ্যে এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি রয়েছে ৩১,৬০,৪২৩ জন। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন আপনার রাজ্যে রয়েছে। তাই দ্রুত তা অগ্রাধিকারের মধ্যে দিয়ে টিকা দিন।’ পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বাকি রয়েছে ৩০,৬৬,৪৩১। এই দ্বিতীয় ডোজের টিকা দ্রুত দিতে নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি লিখেছেন রাজেশ ভূষণ।
রাজস্থান ও ওড়িশার ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষের মতো বাকি রয়েছে। তবে টিকা নিয়ে কোনও চিন্তা করতে হবে না বলেও সব রাজ্যকেই চিঠিতে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের টিকার সরবরাহ নিয়ে নিশ্চিত করছি। টিকা লাগলেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এখানে কোনও সীমাবদ্ধতা রাখা হয়নি। বরং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হোক। যাতে সমস্ত সাবালক নাগরিকরা দ্বিতীয় ডোজের টিকা পান।’