আপনার কি কখনও মনে প্রশ্ন জাগেনি, যে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা 'জোম্যাটো'র নাম জোম্য়াটো হল কেন? যদি আপনার মনে সেই প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে তার উত্তর এই প্রতিবেদনেই পেয়ে যাবেন। সৌজন্যে সংস্থার মালিক দীপিন্দর গোয়েলের রহস্যফাঁস!
আসলে জ্যোমাটোর নাম কীভাবে জোম্যাটো হল, সেকথা সম্প্রতি নিজেই জানিয়েছেন দীপিন্দর। জনপ্রিয় কমিডি প্রোগ্রাম, 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এর সাম্প্রতিকতম পর্বে অতিথি হয়ে এসেছিলেন দীপিন্দর। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী গ্রেসিয়া মুনোজ।
ওই একই পর্বে অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন শিল্পপতি নারায়ণ মূর্তি ও তাঁর স্ত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্য সুধা মূর্তি।
সেই অনুষ্ঠানেই জোম্য়াটোর নামকরণ নিয়ে দীপিন্দরকে প্রশ্ন করেন কপিল। তিনি তাঁর নিজস্ব স্টাইলে জানতে চান, 'আমরা পট্যাটো শুনেছি, টম্যাটো শুনেছি। কিন্তু, জোম্যাটো মানে কী?'
একইসঙ্গে কপিল বলেন, 'আমি একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। যেখানে ক্রিকেটার হরভজন সিং এবং শ্রীনাথ তর্ক করছিলেন। তাঁরা আসলে তর্ক করছিলেন, সংস্থার নামটা জোম্যাটো নাকি জোমাটো - এই নিয়ে। তাহলে আসল ঘটনাটা ঠিক কী? এই নাম এল কোথা থেকে?'
এমন প্রশ্ন শুনে খুব স্বাভাবিকভাবেই হেসে ওঠেন দীপিন্দর। এরপর তিনি বলেন, 'আপনি টম্যাটো বলতে পারেন। আবার টমাটোও বলতে পারেন। যেটা আপনার ইচ্ছা। আমরা আসলে (ইমেল অ্যাড্রেসের মতো) কিছু একটা ডট কম হিসাবে নামকরণ করতে চেয়েছিলাম। যেমন ধরুন, আমাদের মনে হয়েছিল, টম্যাটো ডট কম হতে পারে। কিন্তু, আমরা সেই নামে কোনও ডোমেন পাইনি। তাই আমরা নামের প্রথম বর্ণটিই বদলে দিই। আর তার ফলে আমরা পেয়ে যাই জোম্য়াটো ডট কম!'
এছাড়াও ওই একই অনুষ্ঠানে কপিল শর্মা জোম্য়াটোর কর্ণধার দীপিন্দর গোয়েলের কাছে জানতে চান, কীভাবে তিনি তাঁর স্ত্রী গ্রেসিয়া মুনাজকে পেলেন?
এই প্রশ্ন শুনেই দীপিন্দরের মুখভঙ্গি বদলে যায়। স্মিত হেসে তিনি কিছুটা যেন নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন।
কপিলের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি একটা দীর্ঘ সময় ধরে সিঙ্গল ছিলাম। আমার বন্ধুরা আমাকে ডেটে পাঠানোর আয়োজন করত। সবসময় আমাকে বলত, আমি যেন বেশি সিরিয়াস না হয়ে পড়ি। কিন্তু, গ্রেসিয়া যখন প্রথম দিল্লিতে এল, আমার এক বন্ধু আমাকে ডেকে বলল - একটা মেয়ে আছে। তোর ওর সঙ্গে দেখা করা উচিত।'
এরপর ওই বন্ধুই দীপিন্দরকে বলেন, 'তোকে ওই মেয়েটার সঙ্গে দেখা করতেই হবে। আর তুই ওকেই শেষ পর্যন্ত বিয়ে করবি।'
দীপিন্দরের সেই বন্ধুর এই ভবিষ্যদ্বাণী একেবারের অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছিল। সেই গ্রেসিয়াই আজ জোম্যাটো কর্তার সহধর্মিণী।