বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > রিজিজুকে জবাব ! সিএএ ইস্যুতে মুখ খুলল অরুণাচলের চাকমা ও হ্যাজংরা

রিজিজুকে জবাব ! সিএএ ইস্যুতে মুখ খুলল অরুণাচলের চাকমা ও হ্যাজংরা

কিরেণ রিজিজু। ( ছবি সৌজন্য এএনআই) (Shrikant Singh)

চাকমার ছাত্র সংগঠন সংগঠন স্পষ্ট করেছে যে, সিএএ ২০১৯ এর বহু আগে, চাকমা ও হ্যাজংরা ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় থাকতে শুরু করেছেন।

সিএএ-র আওতায় তাঁরা পড়েন না। এই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল অরুণাচলপ্রদেশের চাকমা ও হ্যাজং উপজাতির সংগঠন। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এই মর্মে সিএএ প্রসঙ্গে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথা উঠে আসে, অরুণাচল প্রদেশ চাকমা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তরফে।

এর আগে, অরুণাচল প্রদেশের তানগিং সম্প্রদায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শিন-দোন্যিতে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। বৃহস্পতিবার আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে তিনি সেই সময় বলেছিলেন, সিএএর আওতায় কোনও উদ্বাস্তুরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ উপজাতি বলে অধিকার দাবি করতে পারবে না। একই সঙ্গে রিজিজু স্পষ্ট করেছেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুব শিগগিরিই হ্যাজং ও চাকমাদের অন্য বাসস্থান খুঁজে নেওয়ার জন্য বার্তা দেবে। এরপরই হ্যাজং ও চাকমারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায়। অরুণাচলের চাকমা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তরফে সুপন চাকমা বলেন, ' অরুণাচল প্রদেশের চাকমা ও হ্যাজংরা সিএএর আওতাতেই পড়ে না। কারণ তাঁদের বৈধভাবে ১৯৬৪-১৯৬৯ সালের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল ও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয় " ডেফিনিট প্ল্যান অফ রিহ্যাবিলিটেশনের" আওতায়।' শনিবার এই সংগঠনের তরফে জানানো হয় যে, চাকমা ও হ্যাজং পরিবারগুলিকে সেই সময়, নর্থ ইস্ট ফ্রন্টায়ার এজেন্সির-এর প্রশাসনের (যা বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশ নামে পরিচিত) সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্র ৫ একর জমিতে বসবাসের জায়গা দেয়। কেন্দ্র সেই সময় চাকরি, বন্দুকের লাইসেন্স,কার্ডও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে চাকমা গোষ্ঠীর সংগঠন। সংগঠন স্পষ্ট করেছে যে, সিএএ ২০১৯ এর বহু আগে, চাকমা ও হ্যাজংরা ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় থাকতে শুরু করেছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টোগ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে ভারতে ১৯৬৪ থএকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে চলে আসে চাকমারা। ধর্মের ভিত্তিতে তাঁরা হিন্দু ও বৌদ্ধ। শোনা যায়, তৎকালীন বাংলাদেশ যা পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল, সেখানে চাকমাদের উপর প্রবল অত্যাচার করা হত। তার জেরেই তাঁরা এদেশে চলে আসে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতে ৪৭ হাজার ৪৭১ জন চাকমা রয়েছেন।

বন্ধ করুন