বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Chanda Kochhar Released by HC: 'আইন মেনে গ্রেফতারি হয়নি', ICICI ব্যাঙ্ক ঋণ প্রতারণা কাণ্ডে চন্দাকে মুক্তি দিল হাই কোর্ট

Chanda Kochhar Released by HC: 'আইন মেনে গ্রেফতারি হয়নি', ICICI ব্যাঙ্ক ঋণ প্রতারণা কাণ্ডে চন্দাকে মুক্তি দিল হাই কোর্ট

চন্দা কোচর এবং তাঁর স্বামী দীপক কোচরকে বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দিল বোম্বে হাই কোর্ট। (ANI )

অভিযোগ, অবৈধভাবে ভিডিয়োকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন কোচর দম্পতি। এই লেনদেনের মাধ্যমে চন্দার পরিবারের সদস্যরা সরাসরি লাভবান হয়েছেন বলেও দাবি তুলেছিল সিবিআই। তবে বোম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই গ্রেফতারি আইন মেনে হয়নি।

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার চন্দা কোচর এবং তাঁর স্বামী দীপক কোচরকে বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দিল বোম্বে হাই কোর্ট। এর আগে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ প্রতারণা কাণ্ডে এই দুই জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। অভিযোগ, অবৈধভাবে ভিডিয়োকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন কোচর দম্পতি। এই লেনদেনের মাধ্যমে চন্দার পরিবারের সদস্যরা সরাসরি লাভবান হয়েছেন বলেও দাবি তুলেছিল সিবিআই। তবে বোম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই গ্রেফতারি আইন মেনে হয়নি। (আরও পড়ুন: পটনাগামী বিমানে মদ্যপানের চেষ্টা ২ যাত্রীর, এয়ারহোস্টেস বারণ করতেই যা হল….)

ভিডিয়োকন গ্রুপের প্রোমোটার বেণুগোপালের সঙ্গে জড়িত একটি ঋণ জালিয়াতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো গত মাসে চন্দা এবং দীপক কোচরকে গ্রেফতার করেছিল। তবে কোচর দম্পতি তাঁদের গ্রেফতারিকে 'অবৈধ' আখ্যা দিয়ে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁদের যুক্তি, কোনও পদক্ষেপ করার আগে সিবিআই প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও অনুমোদন নেয়নি। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (পিসিএ) বিধান অনুযায়ী, এই ধরনের মামলায় অনুমতি নেওয়া প্রয়োজনীয়। এদিকে প্রাক্তন আইসিআইসিআই প্রধানের আইনজীবী অভিযোগ করেন, যখন চন্দকে জেরা করা হচ্ছিল, তখন কোনও মহিলা আধিকারিক সেখানে ছিলেন না। এদিকে দীপক কোচরের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৪১এ-এর অধীনে দেওয়া নোটিশ অনুযায়ী কোচর দম্পতি সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হয়েছিলেন এবং তদন্তকারী সংস্থারে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করছিলেন। তাই তাঁদের গ্রেফতার করা উচিত হয়নি।

অভিযোগ, অবৈধভাবে ভিডিয়োকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন কোচর দম্পতি। ঋণের অনুমোদন হওয়ার কয়েকদিন পরই দীপক কোচরের নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলে বিনিয়োগ করেন বেণুগোপাল। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান চন্দার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সংস্থার আচরণবিধি, স্বার্থরক্ষার নীতি ভঙ্গ করেছেন চন্দা। এরপর চন্দাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে। আর কয়েকদিন আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর আগে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট, একটি কম্পানির সম্পত্তি সহ মোট ছন্দার মোট ৭৮ কোটির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ইডি-র অভিযোগ, দীপক কোচরের সংস্থা নিউপাওয়ার রিনিউয়েবলস প্রাইভেট লিমিটেডে মোট ৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ভিডিয়োকন গ্রুপ, যা মূলত ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি ভিডিয়োকন কর্তা বেণুগোপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই মামলায়।

বন্ধ করুন