যাঁদের দুইয়ের অধিক সন্তান রয়েছে, কেবলমাত্র তাঁরাই স্থানীয় নির্বাচন - যেমন - পঞ্চায়েত, পুরসভা ও পুরনিগমের ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন। এই প্রস্তাব নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরেই নানা কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু, এবার নাকি এই প্রস্তাব নিয়ে রীতিমতো ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি নিজেই জানিয়েছেন সেকথা।
উল্লেখ্য, এর আগে দক্ষিণের এই রাজ্যে পুরোনো একটি আইন চালু ছিল। সেই আইন অনুসারে, যাঁদের দুইয়ের অধিক সন্তান রয়েছে, তাঁরা স্থানীয় বা আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারতেন না।
মাস দুয়েক আগে সেই আইনে বদল আনে রাজ্য সরকার। সেই প্রেক্ষাপটে নয়া প্রস্তাব নিয়ে চন্দ্রবাবু নাইডুর বিবেচনা ও এই বিষয়ে তাঁর মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছিলেন, তেলুগু জনতাকে আরও বেশি করে সন্তানের জন্ম দিতে হবে। কারণ, তা না হলে যেভাবে অধিকাংশ তেলুগু মানুষের বয়স বাড়ছে, তাতে একটা সময় শুধুই প্রবীণ তেলুগু জনতা অবশিষ্ট থাকবে। নবীনদের সংখ্যা হবে নগণ্য। এর ফলে তেলুগু সমাজের বয়সজনিত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ারও যে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে, কার্যত সেই বার্তাও দেন চন্দ্রবাবু।
আমজনতা যাতে আরও বেশি করে সন্তানের জন্ম দিতে উৎসাহী হয়, তা নিশ্চিত করতে গতবছর বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন চন্দ্রবাবু। তিনি জানিয়েছিলেন, যেসব দম্পতির একের বেশি সন্তান থাকবে, তাঁদের যাতে বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করা যায়, সেকথা ভাবা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে জোর বিতর্ক হলেও এই ইস্যুতে প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের গলাতেও।
মঙ্গলবার তিরুপতির কাছে নিজের গ্রাম নারাভরিপল্লিতে আয়োজিত সংক্রান্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন চন্দ্রবাবু। সেখানে ফের একবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
চন্দ্রবাবু বলেন, 'আমাদের আগে একটা আইন ছিল। সেই আইন অনুসারে পঞ্চায়েত ও পুর নির্বাচনে লড়াই করার জন্য শুধুমাত্র তাঁরাই সুযোগ পেতেন, যাঁদের দুই বা তার থেকে কম সন্তান রয়েছে।...'
'আর, আমি এখন বলছি, যাঁদের যাঁদের কম সন্তান রয়েছে, তাঁরা নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। আগামী দিনে আপনি তখনই পঞ্চায়েত প্রধান, পুর কাউন্সিলর অথবা মেয়র হতে পারবেন, যদি আপনার দুইয়ের অধিক সন্তান থাকে। আমি এটা যুক্ত করব (আইনে এই ধারা যুক্ত করা হবে)।'