সামনেই অন্ধ্রপ্রদেশের পুর নির্বাচন। শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। সোমবার এমনই কারণ দেখিয়ে রেনিগুন্তার তিরুপতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে। এরপরেই বিমানবন্দরে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তেলুগু দেশম পার্টির বর্ষীয়ান নেতা।
সন্ধ্যা নামার আগে পর্যন্ত বিমানবন্দরে বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নাইডু। বিমানবন্দর চত্বরের পুলিশকর্মীরা তাঁকে বিকেলের উড়ানে অমরাবতী ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা করলেও প্রতিবাদে অনড় থাকেন তিনি। দুপুরে পুলিশকর্মীদের দেওয়া খাবারও গ্রহণ করেননি তিনি।
সোমবার সকালে তেলুগু দেশম পার্টির বেশ কয়েকজন বর্ষীয়ান নেতাকে নির্বাচনের আগে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গৃহবন্দী করে প্রশাসন। তালিকায় আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী এন অমরনাথ রেড্ডি এবং প্রাক্তন বিধায়ক এম সুগুনাম্মা প্রমুখ।
শাসক দলের বিরুদ্ধে চিত্তুর ও তিরুপতিতে ধরনায় বসার পরিকল্পনা ছিল তেলুগু দেশম পার্টির। তাঁদের অভিযোগ, ওয়াইএসআরসি কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে জোট বেঁধে টিডিপি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। যদিও এই অভিযোগের প্রসঙ্গে চিত্তুরের পুলিশ সুপার সেন্থিল কুমার বলেন, ‘নাইডু-সহ বহু টিডিপি নেতৃবৃন্দের সভা হওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৫,০০০ মানুষ জড়ো হতেন। এতে করোনাভাইরাস বিধি লঙ্ঘন হত। তাছাড়া নির্বাচনের আগে এতে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হত ও সাধারণ মানুষের সমস্যা হত। সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।’ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিরুপতি বিমানবন্দরে পৌঁছান নাইডু। আড়াইটে নাগাদ আন্দোলন মঞ্চে পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর।