বলা চলে সিংহভাগ দম্পতির কাছে এবারই প্রথমবার এই শিথিলতা। আইনসম্মতভাবে তিনটি সন্তান নিতে পারবেন চিনের দম্পতি। ১৯৭০ এর শেষভাগ থেকে ২০১৬ সাল একেবারে ওয়ান চাইল্ড পলিসি ছিল চিনে। একমাত্র কিছু সংখ্যালঘু জনজাতির ক্ষেত্রে একাধিক সন্তান ধারনের ছাড়পত্র ছিল। কিন্তু বাকিদের জন্য একেবারে চরম কড়াকড়ি। কিন্তু কেন আচমকা এই নিয়মে বড়সর বদল? চিন সরকার সূত্রে খবর, জনসংখ্যার কাঠামোতে উন্নয়ন করার জন্য এই ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চিনের জনসংখ্য়ার একটা বড় অংশ বয়স্ক। এই প্রবণতা কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত।
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর মিটিংয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিংপিংয়ের সভাপতিত্বে সোমবার এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দেশের জনমানচিত্রে পরিবর্তন ঘটানোর জন্যই এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেকারণেই চিনা দম্পতি চাইলে তিনটি সন্তান নিতে পারবেন। এবার থেকে সরকারি নানা পরিকল্পনা করার সময়তেও 'থ্রি চাইল্ড বার্থ পলিসিকে' মাথায় রাখবে চিন। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের পর থেকে চিনে' টু চাইল্ড বার্থ পলিসি' ছিল। কিন্তু এটা সমস্যা মেটানোর পক্ষে উপযুক্ত নয়। সেকারণেই এবার তৃতীয় সন্তান রাখারও ছাড়পত্র দেওয়া হল। এদিকে ২০২০র পয়লা নভেম্বরের হিসাব অনুসারে চিনের জনসংখ্যা ছিল ১.৪১১৭৮ বিলিয়ন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্য়ন্ত কম। এর জেরে চিনে বৃদ্ধ বা বয়স্ক মানুষদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই নিরিখে নতুন প্রজন্ম উঠে আসেনি। জন্মহার কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণের জেরে এতদিন এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল।