একেবারে শেষবেলায় চমক। দুপুর থেকেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া এগিয়ে থাকলেও শেষপর্যন্ত বাজিমাত করলেন চরণজিৎ সিং চান্নি। বিধানসভা ভোটের মাসকয়েক আগে পঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। সঙ্গে ১৯৬৬ সালে রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী পেল পঞ্জাব।
রবিবার সন্ধ্যার দিকে টুইটারে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত হরিশ রাওয়াত বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সর্বসম্মতভাবে পঞ্জাবে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে চরণজিৎ সিং চান্নি নির্বাচিত করা হয়েছে।’ অর্থাৎ পঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন চরণজিৎ। যিনি দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। ইতিমধ্যে রাজভবনেও পৌঁছে গিয়েছেন।
দুপুরের দিকে বিধায়ক প্রীতম কোটভাই দাবি করেছিলেন, সর্বসম্মতভাবে সুখজিন্দর সিং রানধাওয়াকে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনিই হতে চলেছেন পঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেই সময় আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের তরফে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছিল, পঞ্জাবের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুখজিন্দরের নামের সুপারিশ করা হয়েছে। তা নিয়ে বৈঠক করছেন রাহুল গান্ধী ও অম্বিকা সোনি। তারইমধ্যে কয়েকটি মহল থেকে দাবি করা হয়, রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করতে যাচ্ছেন সুখজিন্দর। শেষমুহূর্তে অবশ্য পাশা পুরোপুরি পালটে যায়। শনিবার ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগের পর যে নাটক শুরু হয়েছিল, তাতে ইতি টেনে কংগ্রেসের তরফে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়।
এমনিতে চরণজিৎ দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। তিনবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অতীতে পঞ্জাব বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের মন্ত্রিসভায় কারিগরি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন চামকুর সাহিবের বিধায়ক। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, চরণজিতের ভাবমূর্তিও স্বচ্ছ। যা কংগ্রেসের স্বস্তি বাড়াবে।