ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি হাসপাতালের মর্গে আনা মৃত কিশোরীদের লাশকে নিয়মিত ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল এক ডোমের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের ওই সরকারি হাসপাতালের কর্মরত ডোমের এই কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মুন্না ভগত (২০)। ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক মামলায় চার্জশিট পেশ করল সিআইডি।
তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের অগস্ট পর্যন্ত মোট ৭ জন মৃত কিশোরীর দেহের সঙ্গে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শের-ই-বাংলা নগর থানার পুলিশ আধিকারিক জালালউদ্দিন বলেন, ‘গত ৩০ মে এই থানায় দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় অভিযুক্ত মুন্না ভগতের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এই চার্জশিটটি আদালতে দাখিল করেছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক সুব্রতকুমার রায়।
অবশ্য তিনি জানান, করোনার কারণে আদালতের কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছিল। সেই কারণে এতদিন এই মামলায় কোনও শুনানি হয়নি। গত বছরের ১৯ নভেম্বর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন ঢাকার নগর দায়রা আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত মুন্না ভগত।
সিআইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মুন্না সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের ডোম জতনকুমার লালের সহযোগী হিসেবে কর্মরত ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গত দু’তিন বছর ধরেই সে ওই মর্গের আসা তরুণীদের মৃতদেহের সঙ্গে বিকৃত ধর্ষণ কাণ্ড চালিয়ে গিয়েছে।সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডোম জানান, বিগত দু’তিন বছর ধরে সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করছিল মুন্না। আরও দু'তিনজনের সঙ্গে মর্গের পাশেই একটি ঘরে থাকতাম আমরা। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গোপনে মর্গে ঢুকে মৃতদের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হত মুন্না।