এবার ইডির নজরে অ্যামওয়ে ইন্ডিয়া। অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এবার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। ইডি অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। এদিকে প্রচুর মানুষ ভারতে এই অ্যামওয়ে চেইন সিস্টেমের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাখ লাখ মানুষকে লোভনীয় কমিশনের কথা বলে তাদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এজেন্সির দাবি, গোটা দেশ জুড়ে তাদের প্রায় ৫.৫ লাখ সরাসরি বিক্রেতা রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে অ্যামওয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তেলেঙ্গানা পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছিল। তারপরই এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
এজেন্সির দাবি, উচ্চ কমিশন, ইনসেনটিভ দেওয়ার কথা বলে একের পর এক এজেন্টকে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এর মাধ্য়মে তারা বহু মানুষকে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। আসলে ইডির দাবি, সরাসরি বিক্রির নাম করে একটি পিরামিড সিস্টেম চালু করেছিল অ্যামওয়ে। বহুস্তরীয় বিপণন ব্যবস্থা চালু করেছিল অ্যামওয়ে। শুধু সামগ্রী বিক্রির উপর নয়, নতুন নতুন করে সদস্যদের যাতে এই ব্যবসার মধ্য়ে আনা যায় সেটা দেখা হয়েছে।
একজন এজেন্ট আবার আর একজনকে আনেন এই ব্যবসায়। তিনি আবার অন্য়জনকে আনেন ওই ব্যবসায়। এভাবেই সরাসরি সামগ্রী বিক্রি জায়গাটি গৌন করে মূলত এই মেম্বার আনার প্রতিই জোর দেওয়া হয়। এর মাধ্য়মে একেবারে শীর্ষে যে মেম্বার বসে আছেন তার জন্য় নানা ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করা হয়। যেমন বিলাসবহুল ভ্রমণের মতো ব্যবস্থা। আর তারপরই নীচের তলায় থাকা এজেন্টরা ভাবতে শুরু করেন আমাকেও নতুন করে এজেন্ট তৈরি করে এই পিরামিডের শীর্ষে বসতে হবে। এভাবেই চলত এই পিরামিড সিস্টেম।
সব মিলিয়ে ৪,০৫০.২১ কোটির লেনদেন করা হয়েছে বলে খবর। তার মধ্য়ে মেম্বারদের থেকে সংগৃহীত ২৮৫৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করে তা বিদেশের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তবে অ্যামওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছে। সময়ে সময়ে যে তথ্য় চাওয়া হয়েছে সেটাই সরবরাহ করা হয়েছে।