ক্ষমা চাইলে বিতর্ক কমেনি। বরং বাড়ছিল সমালোচনার মাত্রা। তার জেরে সুরজপুরের কালেক্টর রণবীর শর্মাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। সঙ্গে সেই ঘটনার নিন্দা করলেন। তারপরই তড়িঘড়ি রণবীরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে সুরজপুরের কালেক্টর রণবীর শর্মার দুর্ব্যবহারের ঘটনা আমার নজরে এসেছে। এটা অত্যন্ত দুঃথজনক এবং নিন্দাজনক ঘটনা। ছত্তিশগড়ে এরকম কাজ বরদাস্ত করা হবে না। অবিলম্বে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছি। সঙ্গে বলেন, 'কোনও সরকারি আধিকারিকের প্রশাসনিক জীবনে এরকম কাজ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এই ঘটনায় হতাশ। যুবক এবং তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইছি।'
করোনার সংক্রমণ রুখতে ছত্তিশগড়ে লকডাউনের মধ্যে শনিবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা যায়, লকডাউনের মধ্যে এক যুবককে আটকেছেন সুরজপুরের কালেক্টর এবং পুলিশকর্মীরা। পরে নিজের গাড়ির দিকে এগিয়ে যান ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। কিন্তু গাড়িতে না উঠে ফিরে আসেন। যুবকের থেকে ফোন চেয়ে তা মাটিতে আছড়ে ফেলেন। সঙ্গে সপাটে থাপ্পড় মারেন। তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীদেরও ওই যুবককে মারতে বলেন। লাঠি দিয়ে যুবককে কয়েক ঘা মারতেও দেখা যায়।
সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয়, ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। কাগজ দেখানো সত্ত্বেও তাঁকে মারা হয়েছে। একটি অংশ থেকে আবার দাবি করা হয়, ১৩ বছরের ছেলেকে থাপ্পড় মারা হয়েছে। ওই ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরকে সাসপেন্ড করার দাবি ওঠে। কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের জন্যও সরব হন।
যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। তিনি বলেন, ‘ওই যুবক টিকাকরণের জন্য বেরিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও উপযুক্ত কাগজপত্র ছিল না। পরে তিনি বলেন যে ঠাকুমার কাছে যাচ্ছেন। বাজে ব্যবহার করতে মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল, তারপর থাপ্পড় মেরেছি। ওঁর বয়স ২৩ বা ২৪, ১৩ নয়।’ পরে আরও একটি বিবৃতি জারি করে রণবীর দুঃখপ্রকাশ করেন। বলেন, 'আমি আজকের ব্যবহারের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। ভিডিয়োর যুবককে অসম্মান বা ছোটো করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না আমার।' সেইসঙ্গে দাবি করেন, তাঁর পরিবারের সকলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর মা এখনও করোনায় আক্রান্ত।