বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Fact Finding: আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে হামলার নেপথ্যে ধর্মান্তরকরণ! ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের রিপোর্ট যাচ্ছে কেন্দ্রের কাছে

Fact Finding: আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে হামলার নেপথ্যে ধর্মান্তরকরণ! ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের রিপোর্ট যাচ্ছে কেন্দ্রের কাছে

আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের রিপোর্ট কী বলছে। (AP Photo/Altaf Qadri) (AP)

এলাকার মাদামনার গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলু কোরাম বলছেন, তিনি ও তাঁর সঙ্গে গ্রামের ২১ টি পরিবারের সদস্যদের পাশের তিহাড় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মান্তরকরণের জন্য। তাঁদের দাবি, সেখানে তাঁদের মাথার ওপর খানিকটা জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

ছত্তিশগড়ের কোন্দাগাওঁতে ক্রিস্টান আদিবাসীদের ওপর হামলা নিয়ে প্রকাশ্যে এল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের রিপোর্ট। রিপোর্ট বলছে, বস্তারের নারায়ণপুরে ক্রিস্টান আদিবাসীদের জোর করে ধর্মান্তরকরণের চেষ্টা থেকেই এই ৩০টি গ্রামে ওই হামলা চলে। ক্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আদিবাসীদের জোর করে হিন্দুত্বে ধর্মান্তরণকরণের চেষ্টার জেরেই পাল্টা ক্ষোভ থেকে এই হামলা বলে জানা গিয়েছে।

এলাকার মাদামনার গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলু কোরাম বলছেন, তিনি ও তাঁর সঙ্গে গ্রামের ২১ টি পরিবারের সদস্যদের পাশের তিহাড় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মান্তরকরণের জন্য। তাঁদের দাবি, সেখানে তাঁদের মাথার ওপর খানিকটা জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পুরোহিত তাঁদের ঘিরে একটি পুজো করেন। তারপর তাঁদের হিন্দু বলে ঘোষণা করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, '

খ্রিস্টান আদিবাসীদের লক্ষ্য করে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের মতো প্রাথমিক সতর্কতা উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসন। এসব ভয়ভীতির কথা জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।' এদিকে, ছত্তিশগড়ের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র ছাবরা বলছেন, 'আমরা জেলা থেকে কিছু হিংসার ঘটনার কথা জেনে ছিলাম, তবে সেটা অন্য ঘটনার কথা। সেটা ধর্মান্তরকরণ নিয়ে নয়। আমি সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, আর তাঁদের হিংসা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

প্রশসান বলছে,'আমরা সাতটি এফআইআর দায়ের করেছি বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে। তারপর গিয়ে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। সম্প্রদায়টির ৫০০ জন ছিটকে যায়, তাঁদের মধ্যে ২৫০ জনকে ঘরে ফেরানো হয়েছে। গ্রামে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।' এদিকে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টে যে তথ্য এসেছে তা কেন্দ্রকে কয়েকদিনের মাথায় জবা দেওয়া হবে। আর তা পেশ করা হবে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের কাছেও।

বন্ধ করুন