পুরসভার মেয়র এবং চেয়ারম্যান পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল ছত্তিশগড় মন্ত্রিসভা। এবার ছত্তিশগড়ের পুরসভাগুলির মেয়র এবং চেয়ারম্যানদের সরাসরি নির্বাচিত করবেন সাধারণ নাগরিকরা। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে সরকারের এমন পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আগে কাউন্সিলররা মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচন করতেন। তবে নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ নাগরিকরা পুরসভার প্রধানদের নির্বাচন করবেন।
আরও পড়ুন: মূলস্রোতে ফিরুন, ন্যায্য দাবি পূরণ করব, মাওবাদীদের বার্তা ছত্তিশগড়ের CM-র
রাজ্য সরকারের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের পুরসভার মেয়র এবং চেয়ারম্যানদের সরাসরি নির্বাচন করবেন নাগরিকরা। এর জন্য ছত্তিশগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট ১৯৫৬ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং ছত্তিশগড় মিউনিসিপ্যালিটি অ্যাক্ট ১৯৬১ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর বিভিন্ন ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে, যাতে সরাসরি নির্বাচন এবং সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিধানগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশে ১৯৯৯ সালের আগে পুরসভাগুলিতে মেয়র এবং পৌর চেয়ারম্যানদের সরাসরি পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন করা হতো। কিন্তু, পরে তৎকালীন সরকার পরোক্ষভাবে তা করার সিদ্ধান্ত নেয়।২০১৯ সালে ভূপেশ বাঘেলের তৎকালীন সরকার কাউন্সিলরদের মাধ্যমে মেয়র এবং চেয়ারম্যান নির্বাচনের নিয়ম কার্যকর করেছিল। সেই সময় এর তীব্র বিরোধীরা করেছিল বিজেপি।
বলা হয়েছে, সরাসরি মেয়র ও চেয়ারম্যান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাররা দুটি ভোট দিতে পারবেন, একটি কাউন্সিলর এবং অন্যটি মেয়র বা চেয়ারম্যান পদের জন্য। এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্বাচনে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমা করা হয়েছে। এরজন্য ছত্তিশগড় পঞ্চায়েত রাজ আইন, ১৯৯৩ সালের অধীনে ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব এবং সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, রাজ্যে পর্যটনের প্রচার ও পরিকল্পিত বিকাশের জন্য ছত্তিশগড় পর্যটন বিভাগের প্রস্তাবে রাজ্যে পর্যটনকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।