আমদাবাদের গুদাম বিস্ফোরণে ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে বৃহস্পতিবার গুদাম মালিক ও তাঁর ভাড়াটেকে তলব করল পুলিশ। ভাড়াটের রাখা রাসায়নিকের ড্রামের কারণেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এ এম মুনিয়া।
বুধবার সকালে আমদাবাদ শহরতলির পিরানা-পিপলাজ রোড এলাকার ওই গুদামে বিস্ফোরণের জেরে ৫ মহিলা-সহ ১২ জন শ্রমিক মারা গিয়েছেন এবং আরও ১০ জন জখম হয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গুদামের একাংশ ধসে পড়ে।
প্রথামিক তদন্তে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা বুটা ভারওয়াদের ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি গুদাম রয়েছে। সেগুলি তিনি একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থাকে ভাড়া দেন। এমনই একটিগুদামের একাংশ তিনি রাসায়নিকের কারবারি সংস্থা সাহিল এন্টারপ্রাইজের মালিক হেতাল সুতারিয়াকে ভাড়া দিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, ওই গুদামে সুতারিয়া বেশ কিছু বিপজ্জনক রাসায়নিক মজুত করেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, রাসায়নিক মিশ্রণের সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের অভিঘাতে পাশাপাশি তিন-চারটি গুদাম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ওই গুদামগুলিতে পোশাক মজুত থাকে এবং শ্রমিকরা সেখানে কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
ঘটনার জেরে নিহত শ্রমিকদের পরিবারপিছু এককালীন ৪ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার। তবে তাতে খুশি নন নিহত শ্রমিকদের পরিবার। এই কারণে দেহ নিতে তাঁরা হাসপাতালে যাননি।
এক নিহতের পরিবারের সদস্য জানান, ‘বিস্ফোরণে আমার ছেলেকে হারিয়েছি। চার লাখ টাকা নিয়ে আমি কী করব? সরকারের উচিত পরিবারপিছু ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করা।’