আমেরিকায় গিয়েছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। সফর শেষে ভারতে ফিরে নিজের ড্রাইভারের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হলেন এক দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের মিলাপোরে। মৃতের নাম শ্রীকান্ত (৫৮ বছর) এবং অনুরাধা (৫৩ বছর)। আমেরিকা থেকে শনিবারই ফিরেছিলেন দু’জন। এরপরই ড্রাইভার তাঁদের খুন করে বলে জানা গিয়েছে। খুন করে দম্পতির দেহ মামাল্লাপুরমের কাছে একটি বাড়ির মেঝের নিচে পুঁতে রেখে দেওয়া হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ড্রাইভারকে অন্ধ্রপ্রদেশের ওঙ্গল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: মাইকিং চলাকালীন সমুদ্রে নেমে মর্মান্তিক পরিণতি, মন্দারমণিতে মৃত কলকাতাবাসী সহ ২)
জানা গিয়েছে, শ্রীকান্ত গুজরাটে একটি সফটওয়্যার ফার্ম চালাতেন। শনিবার ভোররাত সাড়ে তিনটের সময় শ্রীকান্ত এবং তাঁর স্ত্রীকে বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে তোলেন তাঁদের ড্রাইভার কৃষ্ণা। কৃষ্ণা নেপালের বাসিন্দা। বিগত ১১ বছর ধরে শ্রীকান্তের হয়ে কাজ করছে সে। জানা গিয়েছে, শ্রীকান্তদের বারবার ফোন করেও পাননি তাঁদের মেয়ে। এরপর শ্রীকান্তের মেয়ে আদিয়ারে তাঁর এক আত্মীকে ফোন করেন। এরপর শ্রীকান্তের বাড়িতে যান সেই আত্মীয়। এদিকে পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশও। এদিকে সবার ফোন বন্ধ ছিল। কৃষ্ণাকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারও ফোন বন্ধ ছিল। এরপর পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করে যে কৃষ্ণা হয়ত সেই দম্পতিকে অপরহরণ করেছে। পরে দম্পতির মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পারে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে কৃষ্ণার এক সহযোগী ছিল। জানা গিয়েছে, লুঠ করতেই এই খুন করা হয়েছে। কৃষ্ণা এবং তার সাথী লুঠের জিনিস নিয়ে নেপালে পালানোর পরিকল্পনা করছিল। মোট পাঁচ কোটি মূল্যের গয়না উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। দক্ষিণ চেন্নাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এন কান্নান বলেন, ‘লুঠ করার জন্যই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়। আমাদের তদন্তকারীরা দ্রুত প্রমাণের ভিত্তিতে কাজ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন। অভিযুক্তদের কল রেকর্ড এবং অন্যান্য বিবরণ বিশ্লেষণ করার পরে আমরা তাদের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের ওঙ্গলের কাছে ধরে ফেলি।’