একটি ডিভোর্সের মামলা ঘিরে ছত্তিশগড় হাইকোর্টের একটি রায় ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনায় পিটিশনার ডিভোর্সের দাবি তুলে হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ হন। সেই মামলার রায় দতে গিয়েই ছত্তিশগড় হাইকোর্ট জানিয়েছে যে স্বামীকে তাঁর বাবা মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন করা কার্যত নিষ্ঠুরতার নামান্তর। এছাড়াও পণের জন্য দাবি তুলে ভুয়ো মামলা সাজিয়ে হুমকি দেওয়াও একই ঘটনার উদাহরণ। ‘বার ও বেঞ্চ’ এর একটি রিপোর্টে তাই উঠে এসেছে।
ঘটনা ছত্তিশগড়ের। সেখানে এক ব্যক্তির অভিযোগ,তাঁকে তাঁর মা বাবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে চাপ দেওয়া হয়। নিজের পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে আসার জন্য স্ত্রীয়ের বাবা চাপ দিতে থাকেন বলেও অভিযোগ। যে ঘটনাকে মানসিক চাপ বলে মনে করেন তিনি। ঘটনাকে নিষ্ঠুরতার নামান্তর দিয়েছে আদালতও। পিটিশনারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণও খুঁজে পেয়েছে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট। যার জেরে তাঁর ডিভোর্সের অনুমতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই ডিভোর্সের মামলায় কোরবা ফ্যামিলি কোর্ট গত ২১ ফেব্রুয়ারি একটি রায় দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ছত্তিশগড় হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন এক ডিভোর্সের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি। ডিভোর্সের মামলাটির মূলে ছিল 'নিষ্ঠুরতা'র প্রসঙ্গ।
মাতৃ দিবস পালন হলে স্ত্রী দিবস কেন নয়! মোদী সরকারের এই মন্ত্রী নয়া দাবিতে সরব
রায়দানের সময় হাইকোর্ট এও নজরে করে নেয় যে ওই দম্পতি মাত্র ২ মাস একসঙ্গে থেকেছে। তারপর স্ত্রী স্বমীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি নিজের বাবা মায়ের সঙ্গে থাকেন। আর সেখানেই তাঁর স্বামীকেও থারা জন্য জোর করতে থাকেন। বিষয়টির মীমাংসা করতে চেয়েও লাভ হয়নি বলে দাবি এই ব্যক্তির। পরবর্তীকালে তিনি ডিভোর্সের পথ নেন। আর তার অনুমতি দিয়েছে ছত্তিশগড় কোর্ট। কোর্ট নিজের রায় দানের সময় জানিয়েছে, ‘এমতাবস্থায়, স্ত্রী যদি স্বামীকে তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে এবং তাঁর বাবা মায়ের বাড়িতে বসবাস করা থেকে রোখেন, বা স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা পণের মামলার হুমকি দেন, তাহলে তা নিষ্ঠুরতা। আর তা স্বামীর উপর মানসিক নিষ্ঠুরতার নামান্তর। ’