রায়পুর: ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় বৃহস্পতিবার এক সংঘর্ষে দুই সন্দেহভাজন মাওবাদী এবং একজন জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। একথা জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিজাপুর গোটা ছত্তিসগড় জুড়ে পৃথক এনকাউন্টারে মোট ২২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। পৃথক গুলির যুদ্ধ মিলিয়ে শুধু বিজাপুরেই ১৮ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তবর্তী জঙ্গলে সকাল ৭টায় রুদ্ধশ্বাস গুলি যুদ্ধ শুরু হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের একটি যৌথ দল গঙ্গালুর থানা এলাকার (বিজাপুর) অধীনে মাওবাদী দমন অভিযান পরিচালনা করছিল’, তখনই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে দুই মাওবাদীর মৃতদেহ আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক সহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে আরও অনুসন্ধান, খোঁজ, তল্লাশি চলছে এবং আরও বিশদ বিবরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজাপুর সংঘর্ষ: ৫টি মাওবাদীর মৃতদেহ শনাক্ত; নিহত ২ জওয়ানকে শ্রদ্ধাঞ্জলি
৯ মার্চ বিজাপুরে ১১ জন মহিলা সহ কমপক্ষে ৩১ জন সন্দেহভাজন মাওবাদী নিহত হয়। ছত্তিশগড় পুলিশ ৩১ জন মাওবাদীর মধ্যে পাঁচজনকে শনাক্ত করে, যার মধ্যে নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী) এর একজন বিভাগীয় কমিটির সদস্য (ডিভিসিএম)ও নিহত হন। সংঘর্ষস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি এসএলআর রাইফেল, একটি ইনসাস রাইফেল, একটি পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেল, একটি পয়েন্ট৩১৫ বোর রাইফেল, একটি স্ট্যান্ড সহ একটি বিজিএল রকেট লঞ্চার (বড়), ছয়টি বিজিএল লঞ্চার এবং লেজার প্রিন্টার।
আরও পড়ুন: 'মূল ষড়যন্ত্রকারী ঠিকাদার': সাংবাদিক হত্যা মামলায় চার্জশিট
এ বছর ছত্তিশগড়ে পৃথক সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৮১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। এই ৮১ জন বিদ্রোহীর মধ্যে ৬৫ জনের মৃত্যু হয় বাস্তার বিভাগে, যার মধ্যে বিজাপুর সহ সাতটি জেলা রয়েছে।