কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। দেশটিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। তারপরেই বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওবাইদুল হাসানও পদত্যাগ করেছেন। বর্তমানে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পরেই কড়া বার্তা দিলেন সৈয়দ। তিনি স্পষ্ট করেছেন, বিচার বিভাগের কেউ কোনওরকমের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু কোতল চলছে, ১ কোটি শরণার্থী নেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন: শুভেন্দু
দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং আপিল বিভাগের সুপ্রিম কোর্ট বার আয়োজিত একটি সংবর্ধনা সভায় বক্তৃতা রাখার সময় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। একইসঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্র এবং সারা দেশের জনগণের কাছে অভিনন্দন জানাই। এই আন্দোলনকে যারা সমর্থন করেছেন তাদেরকেও অভিনন্দন জানাই। পড়ুয়ারা অসাম্যের বিরুদ্ধে এক মহান জাগরণের জন্ম দিয়েছেন। ছাত্র এবং জনসাধারণের বিপ্লবের জন্যই আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি তা পালন করব।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর সেখান থেকে নতুন করে শুরু করতে হবে।
এরপরে প্রধান বিচারপতি কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ‘বিচার বিভাগে কোনও রকমের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। বিচার বিভাগের কেউ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতদিন ধরে বিচারের পরিবর্তে নিপীড়ন চলেছে। সেই নিপীড়ন নীতি এখন শেষ হয়েছে।’ তিনি জানান, তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কাজ করবেন। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে ন্যায় বিচারের বোধ নষ্ট হয়েছে। এখন তার পরিবর্তনের সময়।
উল্লেখ্য, নতুন সরকার গঠনের পরেই বিচার বিভাগের পুনর্গঠনে দাবিতে বিক্ষোভের পর অবশেষে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওবাইদুল হাসান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তারপর রবিবার সৈয়দ বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। এর আগে ওবাইদুল হাসান ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন।