অবশেষে ৫৫ বছর পর চিলাহাটি–হলদিবাড়ি রেলসংযোগ স্থাপন করা হল। ভারতের একটি রেলইঞ্জিন হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রায়াল রান করে। কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতের সীমান্ত পর্যন্ত ইঞ্জিনের মহড়া হল। মহড়া ইঞ্জিনটি হলদিবাড়ি রেল স্টেশনে ঢোকে। কিছুক্ষণের বিরতি। তারপর আবার হলদিবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে চলতে শুরু করে সেটি।
২০২১ সালের সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উৎসব পালন করবে পদ্মাপার। এদিন ধর্মীয় রীতি মেনে ইঞ্জিনের পুজো দিয়ে ফিতে কেটে নতুন রেলপথটির সূচনা করেন উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জেপি সিং। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন) এনজেপি ভিকে মিনা, ইঞ্জিনিয়ার পিকে দে–সহ অন্য রেল আধিকারিকরা।
চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেললাইনে সংযোগ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ–ভারত পঞ্চম রেল যোগাযোগ হিসাবে চিলাহাটি–হলদিবাড়ি রেলপথে ৭৮২/২ পিলারের পাশে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে রেললাইনের সংযোগ করা হয়েছে। এটা ঐতিহাসিক দিন বলে মনে করছে দু’দেশ। সূত্রের খবর, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও তাদের সীমানা পর্যন্ত ‘ট্রায়াল রান’ করবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের পাক–ভারত যুদ্ধের পর ভারতের সঙ্গে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ভারতের সঙ্গে বন্ধ থাকা সকল যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার একের পর এক উন্মোচন হচ্ছে।
দ্রুত হলদিবাড়ি–চিলাহাটি রেলপথ দিয়ে চলবে ট্রেন। এতে দুই দেশের আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনও ঘটবে। রেল সূত্রে খবর, চিলাহাটি–হলদিবাড়ি রেলপথে সরাসরি ট্রেন চলাচল করবে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে বেনাপোল দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে চিলাহাটি হয়ে সোজা গিয়ে হলদিবাড়ি পৌঁছবে। চিলাহাটি–হলদিবাড়ি ইন্টারচেঞ্জ লিংক চালু হলে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে আশা করছেন সকলে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করা হবে। তারপর দুই দেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলে দেওয়া হবে হলদিবাড়ি–চিলাহাটি রেল রুটটি।