দুই শিশুর মধ্যে মারপিট। তার জেরে এক শিশুকে সজোরে চড় মারলেন অন্য শিশুর মা। আঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে তার ফলে শিশুটির গালে গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়েছে। ঘটনায় মহিলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত শিশুর অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডা ওয়েস্টের গৌড় সিটি ২-এর ১০ নম্বর অ্যাভিনিউয়ের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
আরও পড়ুন: গত ৩ দশকে ভোটের সময় বাংলায় বোমা বিস্ফোরণে হতাহত ৫৬৫ শিশু- রিপোর্ট
আক্রান্ত শিশুর অভিভাবকদের অভিযোগ, চড়ের আঘাতে তাদের সন্তানের গালে আঙুলের দাগ বসে গিয়েছে। তার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিসরাখ থানায়। যদিও চড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মহিলা। আক্রান্ত শিশুর মা চঞ্চল সাইনি জানান, তাঁর সন্তানের গালে চড়ের দাগ থাকার পরেও মহিলাটি মেনে নিচ্ছেন না। তিনি দাবি করেছেন, যে তিনি শিশুকে চড় মারেননি। ঘটনার একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে। তাতে ওই মহিলাকে চড় মারতে দেখা গিয়েছে।
আক্রান্ত শিশুর মা জানান, তারা দুজনে একই স্কুলে পড়ে। কাগজের তৈরি বিমান নিয়ে তাদের মধ্যে মারপিট বাঁধে। পরে একটি শিশু তার মাকে ডেকে আনে। তখন মহিলা এসে তার সন্তানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। আক্রান্ত শিশুর মায়ের কথায়, ‘তিনি আমার ছেলেকে খুব জোরে চড় মেরেছিলেন। আমার ছেলে এবং তার বন্ধুর হাত ধরে তাদের দুজনকে আমাদের কাছে নিয়ে এসে বলেন, আপনার শিশুকে সামলান। ও আমার ছেলেকে মারছে। তখন আমি আমার সন্তানের গালে চড়ের দাগ দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’ চঞ্চল তখন অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, মহিলা তার শিশুর গালে চড় মেরেছে। অন্য বাবা-মায়েরাও তা লক্ষ্য করেছিলেন।
চঞ্চলের আরও দাবি, তিনি যখন অভিযুক্ত মহিলার কাছে জানতে চান, তখন তিনি শুধু অভিযোগ অস্বীকার করেননি। তাঁকে গালিগালাজও করতে শুরু করে। এরপর তিনি শিশুর ওপর আরও শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। একলা পেলেই আরও দু-চারটে চাঁটি মারার কথাও বলেন মহিলা!
ঘটনার পর শিশুটির বাবা বিসরাখ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় বিএনএসের ১১৫(২) ধারার অধীনে মহিলার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এর পাশাপাশি বিএনএসের ৩৫২ ধারার অধীনে উস্কানিমূলক কাজ এবং এর প্রভাবে সংঘটিত অপরাধের ধারায়ও মামলা রুজু হয়েছে।