এই ঘটনা সেকেন্দ্রাবাদ বিশাখাপত্তনম দুরন্ত এক্সপ্রেসের। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সেই ট্রেনেই এক গর্ভবতী মহিলার রাতে আচমকা প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এমন সময় বিপন্ন হয়ে পড়ে তাঁর পরিবার। ছুটোছুটি পড়ে যায় ট্রেনের মধ্যে। সেই কামরাতেই ছিলেন এক মেডিক্যাল পড়ুয়া। মেডিক্যাল ছাত্রী কে স্বাতী রেড্ডি সেই সময় এগিয়ে আসেন।
শ্রীকাকুলমের বাসিন্দা ওই মহিলা যখন প্রসব যন্ত্রণায় রাতের চলন্ত ট্রেনে ছটফট করছেন, তখনই স্বাতী এগিয়ে আসেন। 'গীতম ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়ান্সেস' এর ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া স্বাতী যখন ওই মহিলার কাছে আসেন, তখন রাত তিনটে। সেই সময় কামরায় থাকা আরও দুই মহিলা ও একজন মহিলা পুলিশের সহায়তায় জন্ম নেয় শিশু। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই শিশুটি জন্ম নেয়। এর আগে যখন, রাতে ট্রেনে এমন পরিস্থিতি, তখন মহিলার স্বামী ওই মেডিক্যাল ছাত্রীর দ্বারস্থ হন। যদিও তিনি জানতেন না যে স্বাতী মেডিক্যাল পড়ুয়া, তিনি মহিলা হিসাবে সাহায্যের আর্জি নিয়ে যান স্বাতীর কাছে। তবে, স্বাতী সেই রাতে কার্যত 'দেবদূত' হয়ে এসে ওই শিশুর জন্মে সহায়তা করেন। স্বাতীর সেই রাতের কর্মকাণ্ডে কুর্ণিশ জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরাও। যুদ্ধবিমান F16 এর ভরণপোষণে পাকিস্তানকে সাহায্য আমেরিকার! রাজনাথ করলেন পদক্ষেপ
স্বাতী বলছেন, প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তিনি টেনশনে ছিলেন। এর আগে তিনি কলেজে অধ্যাপক সহকর্মীদের সাহায্য করেছেন প্রসবের সময়, তবে এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি আগে পড়েননি। নিরাপদে পুরো বিষয়টি সম্পন্ন হওয়ায় তিনি খুশি বলেও জানিয়েছেন। এদিকে, ২৮ বছর বয়সী ওই মহিলা সন্তানের প্রসবের পর অত্যন্ত খুশি। জানা গিয়েছে, মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ। জানা যায়, ওই রাতের ট্রেন অনাকাপল্লী স্টেশনে থামলে সেখানে ওই মহিলা ও তাঁর সন্তানকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এমবিবিএসের ছাত্রী স্বাতীর কর্মকাণ্ডে খুশি তাঁর সহপাঠীরা। খুশি তাঁর কলেজ কর্তৃপক্ষ।