মধ্য়প্রদেশের রায়সেন জেলার একটি মদ কারখানা থেকে ৫৮জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্য়ে ৩৯জন ছেলে ও ১৯জন মেয়ে আছে। ন্যাশানাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অফ ভলান্টারি অ্যাকশন একযোগে এই অভিযান করে। এই অভিযানের অন্য নাম বচপন বাঁচাও আন্দোলন। তারাই শনিবার এই মদের কারখানাতে অভিযান করে।
এদিকে সোম ডিসটিলারিজ অ্যান্ড ব্রিওয়ারিজ হল আইএসও সার্টিফায়েড গ্রুপ অফ কোম্পানিজ। তারা বিয়ার সরবরাহ করে থাকে। তারা দেশীয়ভাবে তৈরি করা বিদেশি মদ ও রেডি টু ড্রিঙ্ক পানীয় সরবরাহ করে।
এদিকে অভিযানকারীদের তরফে বলা হয়েছে যে অ্য়ালকোহল ও কড়াজাতীয় কেমিক্যালের জেরে বাচ্চাদের হাতে ফোস্কা পড়ে গিয়েছে। তাদেরকে একটি স্কুল বাসে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হত এই মদ তৈরির কারখানায়। এরপর দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা করে তাদের খাটানো হত। এরপর তাদের ছুটি মিলত। তবে এই অভিযানের পরে তারা মুক্তি পেয়েছে। এই অ্যালকোহল ও কেমিক্যালসের জেরেই তাদের শরীরে সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে খবর।
বিবিএ ডিরেক্টর মণীশ শর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন শিশুরা এই পরিস্থিতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে কাজ করে এটা ভাবা যাচ্ছে না। আমরা আবেদন করছি যাতে এই কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এদিকে এই অভিযানের পরে মধ্য়প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী মোহন যাদব এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, শ্রমিক, আবগারি দফতর, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিবিএ ডিরেক্টর মণীশ শর্মা জানিয়েছেন, অ্যালকোহল ও কেমিক্যালের গন্ধ সহ্য করা যায় না। প্রতিদিন এমন একটা পরিবেশে বাচ্চারা কাজ করত এটা কিছুতেই ভাবা যায় না। আমরা চাই যাতে এই কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য মেলেনি।