লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের প্রশংসা করল চিন। এই নিয়ে ফের একবার 'হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক নৃত্য' প্রসঙ্গ তুলে আনে বেজিং। কোনও রাগঢাক না করে চিনের স্পষ্ট বক্তব্য, মোদীর বয়ান 'বাস্তববাদী'। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, তাঁর দেশ মোদীর এই বিবৃতি শুনেছে এবং তারা এর প্রশংসা করছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বিগ্ন USA, বড় মন্তব্য তুলসির)
আরও পড়ুন: 'ভারত-চট্টগ্রাম ভাগের ছক কষা হচ্ছে', বিস্ফোরক দাবি বাংলাদেশি সাংবাদিকের
এর আগে লেক্স ফ্রিডম্যান পডকাস্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার উপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেছিলেন যে প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত হওয়া উচিত নয় এবং মতপার্থক্যকে বিরোধে পরিণত করা উচিত নয়। এই আবহে মাও বলেন, অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যকার সফল বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা দিয়েছে। (আরও পড়ুন: 'জঙ্গি' তকমা দেওয়া হোক পান্নুনের খলিস্তানি সংগঠনকে, তুলসির কাছে আবেদন রাজনাথের)
মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে আলাপচারিতায় পাকিস্তানকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে অপর প্রতিবেশী চিনকে নিয়ে তাঁর সুর ছিল 'নরম'। ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'পরিবারের' উদাহরণ টানেন। সীমান্ত নিয়ে যে চিনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ রয়েছে এবং বিগত কয়েকবছর ধরে যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল, তা মেনে নিয়েছেন মোদী। তবে তিনি এও জানান, ধীরে ধীরে সম্পর্ক ভালো হচ্ছে চিন এবং বেজিংয়ের। চিন ও ভারতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকই পারে, তবে তা যাতে বিবাদে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।' মোদী জানান, গালওয়ান পূর্ববর্তী সমীকরণেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। তিনি বলেন, 'আমার বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ফের আস্থা ফিরবে।' এদিকে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে মোদী বলেন, 'প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠকের পরে, সীমান্তে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে দেখছি।'
পডকাস্টে চিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে মোদী আরও বলেছিলেন, 'আপনি যদি ইতিহাসের পাতা ওলটান, তাহলে দেখবেন, শত শত বছর ধরে ভারত ও চীন একে অপরের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে। একসঙ্গে আমরা সর্বদা কোনও না কোনওভাবে বিশ্বব্যাপী কল্যাণে অবদান রেখেছে। পুরনো রেকর্ড বলছে, এক সময় বিশ্বের জিডিপিতে ভারত ও চিনের অবদান ছিল ৫০ শতাংশের বেশি। এতেই বোঝা যায়, ভারতের অবদান কত বড় ছিল। এবং আমি বিশ্বাস করি আমাদের বন্ধন অত্যন্ত দৃঢ়। এরই সঙ্গে আমাদের গভীর সাংস্কৃতিক যোগ আছে।'