পড়ুয়াদের উপর থেকে হোমওয়ার্কের চাপ কমানোর জন্য নয়া আইন পাশ করল চিন। একাধিক চিনা সংবাদমাধ্যমে এমনই জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, শিশুদের ভিডিয়ো গেম খেলার সময় কাটছাঁট-সহ নাগরিকদের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আনার লক্ষ্যে সেই পদক্ষেপ করেছে বেজিং।
শনিবার চিনের সংসদ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) একটি বৈঠকে সেই আইন পাশ করা হয়েছে। চিনা সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়া আইনে জানানো হয়েছে যে শিশুদের পারিবাবিক শিক্ষার দায়িত্ব থাকবে অভিভাবকদের উপর। সেই পারিবারিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে দেশ, স্কুল এবং সমাজ। কাউন্টি স্তর বা তার ঊর্ধ্বে স্থানীয় প্রশাসনকে বাধ্যতামূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে হোমওয়ার্ক এবং টিউশনির বোঝা কমানোর জন্য পদক্ষেপ করার নির্দেশ আছে সেই আইনে। যাতে সার্বিকভাবে কমবয়সি ছাত্রছাত্রীদের উপর থেকে পড়াশোনার অত্যধিক ভার লাঘব হয়।
বিস্তারিতভাবে সেই আইন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা না হলেও চিনা সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিভাবকরা যাতে নিজেদের সন্তানদের উপর অত্যধিক পড়াশোনার ভার চাপিয়ে দেন, সেজন্য আইনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে। আইনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পড়াশোনা, বিশ্রাম এবং শারীরিক কসরতের জন্য অভিভাবকদের ঠিকমতো সময় বের করতে হবে। সেইসঙ্গে বাচ্চারা যাতে ইন্টারনেটে আসক্ত না পড়ে, তা নিশ্চিত করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের উপর।
সেই নয়া আইন নিয়ে বেজিংয়ের উপদেষ্টা সংস্থা ডেজান শিরা অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের তরফে বলা হয়েছে, ‘মূল বিষয়গুলির শিক্ষা বা বাধ্যতামূলক শিক্ষার উপর দৃষ্টি আরোপ করেছে সেই পরিবর্তনগুলি। যা কে-৯ গ্রেড বুঝিয়েছে। তার আওতায় পড়ছে ছয় থেকে ১৫ বছরের পড়ুয়ারা।’