অবশেষে আট মাস পর গালওয়ান সংঘর্ষে চারজন ফৌজির মৃত্যু হয়েছিল বলে স্বীকার করল চিন। আহত হয়েছিলেন একজন। পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো লেক থেকে ভারতীয় এবং চিনা সেনা সরে যাওয়ার মধ্যে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
চিনের একটি সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, 'চিনের ভূখণ্ডে চলে আসা' ‘বিদেশি বাহিনী’-র সঙ্গে ‘রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে চেন হঙ্গজুন, চেন শিয়াগ্রং, শিয়াও সিইউয়ান এবং ওয়াং জাইরানের মৃত্যু হয়েছিল।’ প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, চেন শিয়াগ্রংকে মরণোত্তর ‘গার্ডিয়ান অফ দ্য ফ্রন্টিয়ার হিরো’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে প্রথম পর্যায়ের মেরিট সম্মান দিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। একইসঙ্গে গালওয়ান সংঘর্ষে যে কর্নেল চিনকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং গুরুতর আহত হয়েছিলেন, তাঁকে সাম্মানিক উপাধি প্রদান করা হয়েছে বলে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত বছর মে'র গোড়া থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সংঘাতে জড়িয়েছিল ভারত এবং চিন। সেই সংঘাতের আবহে আলোচনা চালাচ্ছিল দু'পক্ষ। তারইমধ্যে ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকার প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে সাত ঘণ্টার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় এবং চিনা সেনা। রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল পিএলএ। ভারতীয় জওয়ানদের থেকে চিনা ফৌজির সংখ্যাও ঢের বেশি ছিল। তা সত্ত্বেও পিছু হটেনি ভারতীয় সেনা। সেই সংঘর্ষে ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার বি সন্তোষ বাবু-সহ ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। চিনের তরফে যথারীতি হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন মহলের তরফে জানানো হয়েছিল, চিনের তরফে হতাহতের সংখ্যাটা ৪০-এর কম হবে না। আমেরিকার গোয়েন্দার রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনা সেনা হতাহতের সংখ্যা ছিল ৩৫।