ভারতের আপত্তি আমল না দিয়ে গালওয়ান উপত্যকার সার্বভৌমত্ব দাবি করল চিন। বেজিংয়ের দাবি, বহু বছর ধরেই ওই অঞ্চলে চিনা সেনাবাহিনীর কব্জায় রয়েছে।
শুক্রবার রাতে চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে গালওয়ান সংঘর্ষের ‘ধাপে ধাপে বিবরণ’ দেওয়ার প্রেক্ষিতে এই ঘোষণা করেছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। মঙ্গলবার এক বিবৃতির মাধ্যমে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি-র ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘গালওয়ান নদী উপত্যকার সার্বভৌমত্ব চিরকালই আমাদের অধীনে রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব চিনের এই দাবি ‘অত্যুক্তি এবং অবিশ্বাসযোগ্য’ বলে নস্যাৎ করেন।
সোমবার রাতে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয় এবং ৭৬ জন জখম হন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার চিনের হেফাজতে থাকা ১০ জন ভারতীয় সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
চিনা মুখপাত্র ঝাও জানিয়েছেন, ‘গালওয়ান উপত্যকা চিন-ভারত সীমান্তের পশ্চিমাংশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার চিনা অংশে অবস্থিত। বহু বছর ধরেই ওই অঞ্চলে টহল দিচ্ছে চিনের সীমান্তরক্ষা বাহিনী।’
ঝাওয়ের অভিযোগ, গত এপ্রিল মাস থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী একক ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অবস্থিত গালওয়ান উপত্যকায় ক্রমাগত রাস্তা, সেতু-সহ অন্যান্য নির্মাণ করে চলেছে। চিনের প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে বার বার প্ররোচিত করেছে ভারতীয় সেনা।
তাঁর আরও দাবি, গত ৬ মে চিনের অংশে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে সেনাঘাঁটি ও ব্যারিকেড তৈরি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী, যার ফলে চিনা ফৌজের টহলদারিতে বাধা সৃষ্টি হয়।