সুতীর্থ পত্রনবীশ
চিনের একাধিক জায়গায় ওমিক্রন নির্ভর কোভিড স্রোতের জেরে প্রবলভাবে করোনা থাবা বসিয়েছে সেদেশের বিভিন্ন শহরে। তবে তারই মাঝে চিনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত বহু ভিন দেশী পড়ুয়াদের নিয়ে বেজিং কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে বহু দেশ। উল্লেখ্য, বেজিংয়ে কোভিড বিধির জেরে সেদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসে ভিন দেশের পড়ুয়ারা কবে ফিরতে পারবেন তা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে কৌতূহল।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার পড়ুয়াদের চিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ছাড়পত্র বেজিং দিলেও, ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে এখনও কোনও বাক্য খরচ করেনি দেশ। চিনে অবস্থিত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতাবাস থেকে শ্রীলঙ্কার পডুয়াদের এই ছাড়পত্রের বিষয়টি ঘোষণা কার হয়। উল্লেখ্য, চিনে কোভিড ঘিরে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় ২০২০ সাল থেকে। সেই সময় থেকে বহু চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়া ফিরে আসেন দেশে। সেই সময় থেকে অনেকেই অপেক্ষা করে রয়েছেন কবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসবে ডাক। বিভিন্ন সফর সংক্রান্ত বিধির জেরে চিনের প্রতিষ্ঠানে পাঠরত ভারতের প্রায় ২৩ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে অনেকেই। আরও পড়ুন-মশকরার ছলে কাউকে অপমান, চেহারা নিয়ে মজা করা বন্ধ করতে নয়া উদ্যোগ স্কুল স্তর থেকে
এর আগে , ২২ ফেব্রুয়ারি চিনে অবস্থিত ভারতে রাষ্ট্রদূতাবাস জানিয়েছে, যে চিনের প্রশাসকরা আশ্বস্ত করেছেন যে, যখন করোনা বিধি শিথিল হবে তখন বিভিন্ন বিদেশী পড়ুয়াদের পাশাপাশি ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়েও তাঁরা ভাববেন। সেক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদের নজর আরোপ করা হবে না। সেই সময় ভারতের দূতাবাস যে বিবৃতি প্রকাশ করে তাতে বলা হয়, ' চিনের বিদেশ মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে যে, ভারতের পড়ুয়াদের ফিরে আসার বিষয়টি কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। আর তাঁদের কোনওভাবেই আলাদা চোখে দেখা হবে না চিনে ফিরে এসে পড়াশোনা শুরুর ক্ষেত্রে।' উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বের ১৯৬ টি দেশের ২০১৮, ৪,৯২, ১৮৫ জন পড়ুয়া চিনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়েন। এঁদের মধ্যে, ২৩,১৯৮ জন ভারতীয়।