বেশ কিছুদিন ধরেই চিনের বহু শহরে লকডাউন বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে। কমিউনিস্ট চিনে আন্দোলন এক বিরল ঘটনা। সেখানে একাধিক শহর এবং প্রদেশে একযোগে জিনপিং বিরোধী স্লোগান ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছিল বেজিং। এই আবহে এবার শেষ পর্যন্ত চিনে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
চিনে কোভিড বিধিনিষেধের তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন ভাইস প্রিমিয়ার সান চুনলান। তিনি বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অতটা ভয়াবহ না হওয়ায় কোভিড বিধি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে হবে। এদিকে বর্তমানে চিনে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার জন কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে বিধিনিষেধ বিরোধী আন্দোলনও বেড়েছে।
এর আগে গুয়াংঝাও, সাংহাই, বেজিংয়ের মতো বড় বড় চিনা শহরে কোভিড বিধি বিরোধী আন্দোলন দেখা যায়। বিধিনিষেধ ভেঙে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষও বাঁধে। জিনপিং বিরোধী প্ল্যাকার্ড দেখানো হয়। ওঠে স্লোগানও। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই সব ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। এই আবহে প্রবল চাপের মুখে পড়েন জিনপিং। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ‘জিরো কোভিড’ নীতির নামে গৃহবন্দি করে রাখা হচ্ছে। এদিকে বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে মাস্কবিহীন দর্শকদের যাতে চিনা নাগরিকরা দেখতা না পান, তার জন্য বিশ্বকাপের সম্প্রচারে কাটছাঁট করা হয়।