গত বেশ কয়েক বছর ধরে চুপিসাড়ে ভুটান দখলে ব্যস্ত চিন। সম্প্রতি ফরেন পলিসি নামের এক আন্তর্জাতিক জার্নালে এমনই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ভুটানের সীমানার প্রায় ৮ কিলোমিটার ভিতরে রীতিমতো একটি ছোটোখাটো শহর গড়ে তুলেছে চিন। কী নেই সেখানে! রাস্তা, বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্র, যোগাযোগ কেন্দ্র, সামরিক ও পুলিশ আউটপোস্ট এবং একটি বিশাল গুদাম- সম্পূর্ণ চিনের ঘাঁটি হয়ে গিয়েছে ভুটানের অন্তর্ভুক্ত এলাকা।
চিনের দখলে থাকা এলাকাটির নাম গ্যালাফাগ, চিনা ভাষায় নাম জিয়েলুওবু। নগরের মধ্যকেন্দ্রে একটি বড় হাতুরি-কাস্তের চিহ্ন। কাছেই একটি ব্যানারে লেখা, 'জেনেরাল শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বকে তুলে ধরা হচ্ছে।'
কিন্তু এরপরেও ভুটান চুপ কেন? রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুটানের জনসংখ্যা মাত্র ৮ লক্ষ। ছোট দেশ। সামরিক শক্তিও যত্সামান্য। অন্যদিকে চিনের জনসংখ্যা ১৪০ কোটিরও বেশি। বিশাল সামরিক শক্তি। ফলে চিনকে ঘাঁটিয়ে বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না ভুটান।
ভুটানের মূলত বৌদ্ধ বাসিন্দাদের সঙ্গে চিনের তিব্বতীদের সাংস্কৃতিক মিল রয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে তিব্বতের সঙ্গে ভারতেরই সুসম্পর্ক বেশি। থিম্ফুর সঙ্গে অনেকটাই বেশি ঘনিষ্ঠ নয়াদিল্লি। অন্যদিকে ভুটানে বেজিংয়ের দূতাবাসই নেই। শুধু তাই নয়, এবার ভুটানের সাকটেঙ অভয়ারণ্যেও কব্জা করতে চাইছে বেজিং। চিনের সঙ্গে কোনও সীমান্ত-ও নেই এই অরণ্যের। তবুও তা দখলে মরিয়া চিন।