পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাক হয়ে থাকতে পারে এককালে ইমরান খানের ব্যবহৃত একটি ফোন নম্বরও। এমনই দাবি করা হয়েছে ফরাসি সংবাদপত্র লে মনডের রিপোর্টে। তাছাড়া পেগাসাসের নিশানায় থাকতে পারে ভারতে নিযুক্ত চিন এবং ইরানের কূটনীতিবিদদের নামও। তাছাড়া ভারতে নিযুক্ত বহু সৌদি, নেপাল, আফগান কূটনীতিবিদদের ফোনও হ্যাক হয়ে থাকতে পারে বলে এদিন দাবি করে ফরাসি সংবাদপত্র লে মনডে। এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে দিল্লিতে স্থিত মার্কিন সিডিসির দুই কর্তা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ভারতীয় প্রধান হরি মেননের নামও রয়েছে তালিকায়।
প্যারিসের নন-প্রফিট সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিস এবং অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশানালের উদ্যোগে একটি তদন্ত সংগঠিত করা হয়। সেই তদন্তে মিডিয়া পার্টনার হিসাবে অংশগ্রহণ করে ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান এবং লে মনডে-এর মতো ১৬টি আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা। তারা সবাই একযোগে রিপোর্টটি প্রকাশ করে।
ফরবিডেন স্টোরির তরফে জানানো হয়েছে, ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বরের তালিকা সামনে এসেছে। এই তালিকার মানুষগুলো মোটামুটি ১০টি দেশেই সীমাবদ্ধ। এই ১০টি দেশ হল- ভারত, আজারবাইজান, বাহারিন, হাঙ্গেরি, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, মরোক্কো, রায়ান্ডা, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আমির শাহি। ফোন নম্বরগুলি এনএসও-র ক্রেতাদের টার্গেট হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। তবে এনএসও-র তরফে তা অস্বীকার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এনএসও গোষ্ঠী দাবি করে, তাঁদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সংস্থার দাবি, তাদের ক্লায়েন্ট বা খদ্দের বলে যেসব দেশের সরকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেটিও ভুয়ো। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালেও এনএসও-র বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোন হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, ভারতের সমাজকর্মী, সাংবাদিক ও আমলা-সহ ১৪০০ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহককে নিশানা করা হয়েছিল ইজরায়েলি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে।