কোভিডের পরে ফের আরও এক মহামারির আতঙ্ক গ্রাস করল চিনকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখ গিয়েছে, কোভিডের মতো মুখে মাস্ক পরে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছেন চিনা নাগরিকরা। যদিও এই ভিডিয়ো রসত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে দাবি করা হচ্ছে, এই ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁরা হিউম্যান মেটাপনিউমোনিয়া বা এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত রোগী। যদিও এই বিষয়ে এখনও চিনের তরফ থেকে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এভবে চিনে নিউমোনিয়ার আবির্ভাব এবং এর উৎস নিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। যদিও আপাতত এই বিষয়টি রুটিন পর্যায়ে আছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি সংক্রমণের উপসর্গ অনেকটা ফ্লুয়ের মতো। (আরও পড়ুন: আজও ঠান্ডা বজায় থাকবে কলকাতায়? তিলোত্তমার রাতের তাপমাত্রার থাকবে কত?)
আরও পড়ুন: হাসিনাকে ফেরত চাইতে 'সব কাজ' শেষই করেনি ঢাকা, কী করবে দিল্লি?
আরও পড়ুন: শুরু মান-অভিমান পালা, হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের 'সৈনিকরা' ক্ষুব্ধ, অবরোধ ঢাকায়
সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, এইচএমভিপি, মাইক্রোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড ১৯-এর মতো ভাইরাল সংক্রমণ ফের ছড়িয়ে পড়ছে চিনে। এই আবহে হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে রোগীর ভিড়। নতুন রোগী ভর্তি করার জায়গা নেই বহু জায়গায়। মূলত শিশু এবং বৃদ্ধরা অসুস্থ হচ্ছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এরই মাঝে ফের একবার কোভিডের মতো মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চিনে। উল্লেখ্য, কোভিডের সঙ্গে এইচএমপিভি-র অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে দাবি করা হয়। (আরও পড়ুন: নয়া বছরের শুরুতেই বড় খবর? ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে কী জানা যাচ্ছে?)
আরও পড়ুন: ঘুষকাণ্ডে আদানির বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ নয়, জানিয়ে দিলেন চন্দ্রবাবু
আরও পড়ুন: লাস ভেগাসের হামলাকারী এক মার্কিন সেনাকর্মী, বিস্ফোরণের আগে নিজের মাথায় করেন গুলি
জানা গিয়েছে, মূলত ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্য়েই সংক্রমণ দ্রুত বেড়েছে। এই ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে উপসর্গ কোভিডে মতো - জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতা। এই আবহে চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ দফতর জানিয়েছে, অজানা প্যাথোজেন শনাক্ত করতে প্রোটোকল তৈরি করা হচ্ছে। এই আবহে কোভিডের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই আশা ব্যক্ত করেছে বেজিংয়ের আধিকারিকরা। আগেভাগেই সতর্ক থাকতে তাই ল্যাবরেটরিতে রিপোর্ট তৈরি ও রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।