চিন দ্রুতগতিতে তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার সম্প্রসারণ করছে। এমনই দাবি করল পেন্টাগন। পেন্টাগনের এক রিপোর্টে দাবি করা হল, ২০৩০ সালের মধ্যে হাজারেরও বেশি পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি করতে চায় চিন। 'মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্টস ইনভলভিং দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না (পিআরসি) ২০২১' শীর্ষক রিপোর্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে যে চিনের পারমাণবিক সম্প্রসারণের যা গতি, তাতে দেশটি ২০২৭ সালের মধ্যেই পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়িয়ে ৭০০ পর্যন্ত করতে পারে।
রিপোর্টে বলা হয়, 'চিন সম্ভবত ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১০০০ ওয়ারহেড রাখতে চায় নিজের হাতে।' রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে চিন পেন্টাগনের অনুমানকে উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে যাবে চিন। ২০২০ সালে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ অনুমান করেছিল যে ২০৩০ সালের মধ্যে চিনের হাতে ৪০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকবে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে চিন তার স্থল, সমুদ্র এবং বিমান ঘাঁটিগুলিতে পারমাণবিক সরবরাহের প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়াতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে। এই সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'চিন সম্ভবত ইতিমধ্যেই একটি পারমাণবিক সক্ষম বায়ুচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এর স্থল ও সমুদ্র-ভিত্তিক পারমাণবিক ক্ষমতার উন্নতির সাথে একটি নতুন 'পারমাণবিক ট্রায়াড' প্রতিষ্ঠা করেছে।'
এই রিপোর্টটি এমন একটি সময় প্রকাশ করা হল যখন তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পটভূমি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমা অতিক্রম করেছে চিনের শতাধিক যুদ্ধবিমান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্ব-শাসিত দ্বীপে চাপ সৃষ্টি করতে চিন অক্টোবর মাসে অনুশীলনের জন্য তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২০০টিরও বেশি বিমান পাঠিয়েছে।