সুতীর্থ পত্রনবীশ
আকাশ পথে ও স্থলপথে চিন এবার দুই পথেই শুরু করল নজরদারি। তাইওয়ান প্রণালীর আকাশে শুক্রবার মার্কিন পরিদর্শন মূলক এয়ারক্রাফ্ট পি ৮এ পোসাইডন উড়ে যায়। তারপর থেকেই চিনের নজর আরও কড়া হয়েছে তাইওয়ান নিয়ে। সদ্য মার্কিন-তাইওয়ান সদ্ভাব খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না চিন। তারই মাঝে শুক্রবারের ঘটনা চিনের নজর আরও আকর্ষণ করে।
এদিকে সপ্তাহের শুরুতেই তাইওয়ানের আশপাশের এলাকায় চিনের বিশাল সংখ্য়ক সেনা ড্রিল করতে শুরু করে। তারপরই দেখা যায় শুক্রবার তাইওয়ান প্রণালীর আকাশে মার্কিন পরিদর্শন মূলক এয়ারক্রাফ্ট । পাল্টা সতর্কতায় নামে চিনও। উল্লেখ্য, শুক্রবার যেভাবে তাইওয়ান প্রণালীর আকাশ দিয়ে মার্কিন পরিদর্শন মূলক এয়ারক্রাফ্ট উড়ে গিয়েছে, তা নিয়ে বহু কূটনৈতিক সওয়াল তৈরি হয়েছে। তবে আমেরিকার সামরিক বিভাগ জানিয়েছে, ইন্দো-পেসিফিক এলাকাকে স্বাধীন রাখতে আমেরিকা যে প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ, তার জন্যই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মার্কিন সেনার তরফে সাফ ভাষায় জানানো হয়েছে, ' আন্তর্জাতিক আইন যেখানে যেখানে অনুমতি দেবে সেখানে মার্কিন (সেনা) জলপথে, আকাশ পথে অপারেট করবে, আর তারমধ্যে পড়ে তাইওয়ান প্রণালী।' মার্কিন সেনা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধবিমান গিয়েছে। এক্ষেত্রে 'নেভিগেশনাল অধিকার' , 'সব কয়টি দেশের স্বাধীনতা ' প্রসঙ্গ তুলে কার্যত চিনকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি আমেরিকা। কোভিডে বারবার আক্রান্ত হওয়ার কেস বাড়ছে, ফের সংক্রমণ গুরুতর হতে পারে!
প্রসঙ্গত, চিনের দাবি তাইওয়ানের তাদের। মূলত তাইওয়ান স্বশাসিত একটি গণতন্ত্র। সেই দাবি থেকে তাইওয়ান প্রণালীর আকাশে মার্কিন যুদ্ধবিমান উড়তেই চিন কড়া বার্তা দেয়। চিন জানায়, 'স্থানীয় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বানচাল করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা এটি।' বেজিং জানিয়েছে, সেদেশের পদাতিক বাহিনী ও আকাশপথে সেনা গোটা বিষয়টির ওপরে নজর রাখছে। মার্কিনীদের পদক্ষেপকে উস্কানিমূলক আখ্যা দিয়ে চিনের পিএলএর তরফে কর্নেল শি ই জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে চিন। তিনি বলেন, 'দেশের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্য ধরে রাখতে রক্ষায় চিনের সেনা ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড কড়া নজর রাখছে। '