বিগত দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে কিছুটা 'দূরত্ব' তৈরি হয়েছে ভারতের। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার সেখানকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এদিকে বাংলাদেশ সরকারেরও অনেক মন্ত্রী উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছে দিল্লির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্যে ঘুরিয়ে দিল্লিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে ঢাকার নেতার মধ্যে। যদিও এর মধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টাও চলছে। এরই মাঝে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চিন মধ্যস্থতা করতে চায় কি না, এই নিয়ে সরাসরি জবাব দেন ওয়েন। (আরও পড়ুন: এখন পুতিনের হয়েও যেন বয়ান দিচ্ছেন ট্রাম্প, ইউক্রেন যুদ্ধে 'বর্বরতা' নিয়ে বললেন…)
আরও পড়ুন: জল্পনা হল সত্যি, অভিজ্ঞতা বদলে দিতে ভারতের প্রথম স্মার্ট টিভি OS লঞ্চ করল জিও
আরও পড়ুন: ইউনুসের বাংলাদেশকে কি অস্ত্র সরবরাহ করবে বেজিং? বড় দাবি চিনা রাষ্ট্রদূতের
ওয়েন বলেন, 'আমি মনে করি, নিজেদের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশিরা যথেষ্ট বিচক্ষণ।' এই আবহে বেজিং স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্কের মধ্যে তারা নাক গলাতে নারাজ। সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করে এসেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে তুলে ধরেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। যার পরে মোদীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের বিষয়টি মোদীর ওপর ছেড়ে দিলাম।' সেই বৈঠকে আবার চিন নিয়েও আলোচনা হয়েছিল দুই নেতার। যা নিয়ে বেজিং আপত্তি জানিয়েছিল। এদিকে বাংলাদেশ ইস্যুতে ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে অবশ্য বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা 'দেখে বল ছেড়ে দেন'। (আরও পড়ুন: আন্দোলনে BNP, তিস্তা নিয়ে ভারতকে তোপ খালেদা পুত্রের, মাঝখান থেকে চিন বলল...)
আরও পড়ুন: ‘মোদীর BFF আদানি’র বিরুদ্ধে তদন্তে ভারতের সাহায্য চায় US, ‘মজা পেলেন’ মহুয়া
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ওমানের মাসকটে মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং বাংলদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এই আবহে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে এই নিয়ে সাক্ষাৎকারে তৌহিদ বলেন, মোদী-ট্রাম্প আলোচনা নিয়ে তিনি জয়শংকরের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। এই নিয়ে তৌহিদের বক্তব্য ছিল, 'ওখানে কী আলোচনা হয়েছে, তা ভারতের বিষয়। তবে আমার মতে বাংলাদেশ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই ভারতের। ইতিমধ্যেই আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভবাবিক হচ্ছে। যেমন বাণিজ্য। প্রাথমিক ভাবে বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। তবে সম্প্রতি তা ফের চাঙ্গা হয়ে উঠছে। উভয় দেশেরই পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে।'