নূপুর শর্মা বিতর্কে ইতিমধ্যেই বহু ইসলামিক দেশ ভারতের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে। বিভিন্ন সময় একাধিক দেস তলব করেছে ভারতীয় দূতকে। এই আবহে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় পয়গম্বরের বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা নেত্রীকে। এবার এই আবহে মুখ খুলল চিন। উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার চালানো দেশ ভারতকে সম্প্রীতির পাঠ পড়াতে চাইল। এই বিষয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার বলেন, ‘বিজেপি নেতাদের মন্তব্যের কারণেই ভারতে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তাঁর সেই সফরের পরই চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার। এর আগে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতকে চাপে ফেলার কৌশল গ্রহণ করেছিল পাকিস্তান। সঙ্গে তালিবানও ভারতকে ‘পাঠ’ পড়াতে এসেছিল। পাকিস্তান, আফগান তালিবান ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল এই ঘটনার প্রেক্ষিতে। যার কড়া ভাষায় জবাবও দেয় ভারত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি তথ্যযাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার নূপুরকে সাসপেন্ড করে দেয় বিজেপি। সেই ঘটনায় নাম উঠে আসা অপর বিজেপি মুখপাত্র নবীনকুমার জিন্দলকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে নূপুর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নূপুর। এরই মাঝে অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের ১৫টি দেশ এই বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে ভারতের জবাবদিহি চায়। এই বিতর্কের আবহে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা মন্তব্যকে দল সমর্থন করে না।