লাদাখ সীমন্তে কতটা সেনা সরানো হয়েছে, সেই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চায় না চিন। বুধবার চিনের তরফ থেকে বলা হয় যে দুই দেশই সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। লাদাখে ভারত-চিন অচলাবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে কথা হচ্ছে। গতকাল জানা যায় যে জল কিছুটা গলেছে, সেনা সরিয়েছে চিনা। প্রত্যুত্তরে ভারতও কিছুটা সেনার সংখ্যা কমিয়েছে।
এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিংয়ে জিজ্ঞেস করা হয় ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশ রিপোর্ট সম্বন্ধে। কিন্তু কোনও সরাসরি উত্তর মেলেনি। তিনি বলেন যে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা চলছে দুই দেশের তরফ থেকে। দুই দেশের মধ্যে এই নিয়ে কার্যকর আলোচনাা হয়েছে ও একটি ইতিবাচক সহমতে দুই দেশ উপনীত হয়েছে । আরও কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় সেটি দুই দেশ বিচার করে দেেখছে বলে জানান মুখপাত্র।
সূত্রের খবর গালওয়ান উপত্যকার প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪ ও ১৫ এবং হট স্প্রিং অঞ্চলে দেড় কিলোমিটার করে পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনা। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য পিছিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বাহিনীও। প্রায় এক মাসের সময় ধরে গালওয়ান উপত্যকা ও প্যাংগং লেকে একেবারে মুখোমুখি ভারত ও চেন সেনা। কিছু চিনা সেনা ভারতে প্রবেশ করে গিয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। সূত্রের খবর, ভারত কেন সীমান্ত রাস্তা বানাচ্ছে এই নিয়ে আপত্তির জেরে গণ্ডগোল পাকিয়েছে বেজিং।