সুতীর্থ পত্রনবীশ
সদ্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস গ্যাব্রিয়েসস চিনের কোভিড নীতির সমালোচনায় মুখ হয়েছেন। যে বক্তব্য আপাতত চিনের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হু-এর তরফে চিনের কোভিড উদ্যোগকে 'আন সাসটেনেবল' বলে দাবি করা হয়। চিনের বর্তমান কোভিড নীতি থেকে সরে আসার কথাও বলা হয়। এরই পাল্টা জবাব দিয়েছে বেজিং।
হু প্রধানের বক্তব্যকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে বর্ণনা করেছে চিন। হু জানিয়েছিল যে, নতুন এই ভাইরাল সম্পর্কে চিনকে অন্যভাবনা চিন্তার পথ নিতে হবে। উল্লেখ্য, চিনের সাংহাই ও বেজিংয়ে কোভিডের প্রকোপ বাড়তেই সেখানে লকডাউন চলছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ঝাও লিন এর জবাবে কার্যত হু প্রধানকে তোপ দেগে পর পর বার্তা দেন। তিনি চিনের জিরো কোভিড নীতির ভূয়সী প্রশংসা করে লকডাউনকে যথাযোগ্য পদক্ষেপ বলে দাবি করেন। হু প্রধান টেড্রস বলেছিলেন যে নীতিতে চিন কোভিড রুখতে পদক্ষেপ করছে তা বাকি বিশ্বের থেকে 'আলাদা', এছাড়াও নিজের নাগরিকদের তরফেও চিনের প্রশাসনের কাছে 'চাপ' আসছে। এর জবাবে চিন জানায়,'চিন সরকারের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নীতি ইতিহাসের পরীক্ষিত এবং আমাদের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিক ও কার্যকরী।' একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'চিন বিশ্বের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সফল দেশগুলির মধ্যে একটি, যা সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্পষ্ট।'
উল্লেখ্য, এদিকে চিনের দুই বড় শহর বেজিং ও সাংহাই জুড়ে ক্রমাগত চলছে লকডাউন। এছাড়াও একাধিক প্রভিন্সে চলছে চিনের কঠোর কোভিড বিধির লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে লকডাউন নিয়ে জনরোষ তৈরি হয়েছে। সেই সময়ই হু প্রধানের বক্তব্য উঠে এসেছে। ফলে সব মিলিয়ে আপাতত কোভিড ঘিরে ঘোর বিপাকে চিন। উল্লেখ্য, এদিকে,সাংহাইতে কড়া কোভিড বিধির পর প্রতিদিন ২৫ হাজারের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা থেকে মে মাসে তা প্রতিদিন হাজারের কাছে চলে যায়। এদিকে একটি নয়া গবেষণা পত্র দাবি করছে যে সাংহাই সম্ভবত একটি কোভিডের ওমিক্রন সুনামি দেখতে পারে। যদি জিরো কোভিড নীতি থেকে চিন সরে আসে, তাহলে সেদেশের ১.৫৫ মিলিয়ন মানুষ মারা যেতে পারেন কোভিডে, বলছে ওই গবেষণা। এরসঙ্গেই কড়া কোভিড বিধিতে দেশের বিভিন্ন শহরকে বেঁধে রেখেছে চিন।