সোমবার একলাফে অনেকটাই বাড়ল চিনে দৈনিক সংক্রমণের হার। দক্ষিণ চিনের গুয়াংঝাউতে এর জেরে লকডাউন জারি করা হয়েছে চিনের তরফে। উল্লেখ্য, দেড় কোটি জনসংখ্যার এই শহরে ২০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে চিনে একদিনে এতজন করোনায় আক্রান্ত হননি। এই আবহে দ্রুত গতিতে সেই শহরের প্রায় সবার করোনা পরীক্ষা করাতে চাইছে চিন। এদিকে হঠাত্ এই সংক্রমণের জন্যে ভারতে মেলা করোনা স্ট্রেনকে দায়ী করল চিন।
এদিকে জানা গিয়েছে, ভিয়েতনামে করোনা ভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে যা ইউকে এবং ভারতে পাওয়া স্ট্রেনের হাইব্রিড। শনিবার ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নুয়েন থাং লং জানান, দেশে সম্প্রতি করোনা আক্রান্তদের শরীর থেকে ভাইরাস নিয়ে তার জেনেটিক পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ভাইরাসটি নতুন প্রজাতির। পরীক্ষালদ্ধ তথ্য অনুযায়ী অনুমান করা হচ্ছে, এই প্রজাতি খুব সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
২০১৯ সালে চিনে প্রথম পাওয়া যাওয়ার পর থেকে করোনা ভাইরাসেরও নতুন নতুন প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। এই আবহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চারটি প্রজাতির কথা বলা হয়েছে, যেগুলি বর্তমানে সবথেকে সংক্রামক। তার মধ্যে একটি ভারতে এবং একটি ইউকে-তে পাওয়া যায়। বাকি দু'টি প্রজাতির একটি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং একটি ব্রাজিলের।
এই পরিস্থিতিতে ভিয়েতনামে বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতির জন্য এই নতুন প্রজাতি দায়ী। করোনার এই নতুন স্ট্রেন বাতাসে দ্রুত ছড়ায়। এই নতুন প্রজাতির ভাইরাসে দেশের ৬৩টির মধ্যে 30টি নিগম এবং প্রদেশের মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। করোনা প্যানডেমিকের শুরু থেকেই ভিয়েতনামে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কম ছিল। মে মাসের শুরুতেই দেশে তিন হাজার একশো জন সংক্রামিত এবং ৩৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে ভিয়েতনামে আরও সাড়ে তিন হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রামিত হন। মৃত্যু হয় ১২ জনের। এর মধ্যে দেশে মোট ৪৭টি মৃত্যু হয়েছে।