ভারতের বিরুদ্ধে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ, বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সৈন্যদের উপরে বর্বরোচিত হামলা এবং দক্ষিণ চিন সাগর ও হংকংয়ে তাদের পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দিয়েছে, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান মনোভাব। এই মন্তব্য করেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন।
গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা সেনার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যু হয় এবং কমপক্ষে ৭৬ জন আহত হন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ফক্স নিউজ রেডিও-র এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা ভারত ও চিনের মধ্যে বিবাদ, কিন্তু চিন দেখিয়ে দিয়েছে তার আসল উদ্দেশ্য। চিনা ফৌজ ভারতীয়দের হত্যা করেছে। ২০ জন ভারতীয়কে পিটিয়ে মেরেছে। কাঁটা তারে মোড়া পেরেক গাঁথা মুগুর দিয়ে ওরা তাদের মেরেছে।’
ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। কোভিড সংকটের আগে আমার শেষ সফরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতেই এবং সেখানকার মানুষের থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ভোলার নয়। ওঁদের সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু মেলে, যেমন আমরা উভয়েই ইংরেজি বলি, দুই দেশই গণতান্ত্রিক। ভারতের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা দৃঢ় হয়েই চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ভারতের সঙ্গে চিনের আচরণ, ঠিক ওদের দক্ষিণ চিন সাগরে পদক্ষেপের মতোই, যেমন হংকংয়ে ওরা করছে, ঠিক যেমন তাইওয়ানে ওরা করছে, স্পষ্ট করেছে যে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি ইদানীং ঠিক কী করতে চাইছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।’
সোমবারই মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পিও জানিয়েছেন, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দখলদারীর দাবির অধিকাংশই ‘অবৈধ’। গত সপ্তাহে শিংজিয়াং উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চলে চিনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আমেরিকা। তার দুই সপ্তাহ আগে হংকংয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে প্রাক্তন ও বর্তমান চিনা আধিকারিকদের ভিসা বাতিল করে ওয়াশিংটন।
মঙ্গলবার মার্কিন সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য বব মেনেন্ডেজ অভিযোগ করেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এশিয়ার মানচিত্র পুনর্নির্মাণ করছে বেজিং। এই প্রসঙ্গে তিনি ২০১৭ সালের ডোকলাম সংঘাত এবং পূর্ব লাদাখ অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সাম্প্রতিক চিনা আগ্রাসনের উল্লেখ করেন।