মুখে আলোচনার কথা বললেও শান্তির পথে হাঁটতে চাইছে না চিন। এই পরিস্থিতি বারবার দেখা গিয়েছে। লাদাখ সংঘর্ষের পর থেকেই চিনের এই দ্বিচারিতা সবার চোখে পড়েছে। তারপরও ভারত–চিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠক হতে চলেছে। এটি সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক যা বসতে চলেছে ১২ অক্টোবর।
এই বৈঠক স্থির হলেও চিনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সৌর শক্তি ও গ্যাস, সেনাদের জন্য গরম কন্টেনার এবং তুষারপাত প্রতিরোধ তাঁবু তৈরি করছে। ওখানের রিজলাইনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই এই ব্যবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে খবর, শীতকালে চিনের সেনাদের ওখানে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকী নতুন হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে যাতে আবহাওয়াজনিত কোনও অসুস্থতা ঘটলে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। যদিও ভারত বিশ্বাস করে কূটনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়েই সীমান্ত সমস্যার সমাধান হবে। যদিও ভারত কথা রাখলেও চিন কথা রাখেনি।
জানা গিয়েছে, এখনও চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নজর রাখছে যাতে উত্তর ও দক্ষিণ তীরের কাছে এলাকাগুলি দখল করতে পারে। তাই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে তুষারপাতের আগে এবং ১৫ অক্টোবরের পরে সজাগ থাকতে।
এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাউথ ব্লক কর্তা বলেন, ‘চিন যদি ভাবে লাদাখ থেকে ভারত সরে যাবে, তাহলে তাদের অন্য সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে তা শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বেই। আর তাঁকেই সেখানে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’