মার্কিন একটি বিমান তাইওয়ানের উপর উড়ে গিয়েছিল। তার কয়েক ঘণ্টা পরই তাইওয়ান প্রণালীর আশেপাশে যুদ্ধবিমান ওড়াল চিন। তার জেরে সেই অঞ্চলে সামরিক এবং কূটনৈতিক উত্তেজনা একধাক্কায় বেড়ে গেল।
তবে চুপ করে থাকেনি তাইওয়ানও। পালটা জবাব দিয়েছে তারা। পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) বায়ুসেনার বিমানগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হটিয়ে দিয়েছে তাইওয়ানের বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমে রাশিয়ার তৈরি একাধিক সুখোই এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমানকে চিহ্নিত করা হয়। তৎক্ষণাৎ তাদের পিছু নেয় তাইওয়ানের বায়ুসেনা। মৌখিকভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা ছাড়ার হুঁশিয়ারির পর অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তাইওয়ানের চারপাশের জল এবং আকাশসীমায় যে কোনও কাজের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারি রয়েছে সামরিক বাহিনীর এবং আমাদের দেশের ভূ-খণ্ডের নিরাপত্তা রক্ষার দক্ষতা নিয়ে জনগণ আশ্বস্ত থাকতে পারেন।’
তার আগে, সকালে তাইওয়ানের পশ্চিম উপকূল দিয়ে মার্কিন সি-৪০ সামরিক পরিবহন বিমান উড়েছিল। তা জাপানের ওকিনাওয়া বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে উড়েছিল এবং অবতরণ না করে তাইওয়ানের উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল।
যদিও বিষয়টি নিয়ে বেজিংয়ের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এমনিতেই সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে তাইওয়ান টর্পেডো কেনার চুক্তি স্বাক্ষরের পর তাইওয়ান প্রণালী উত্তাপ যথেষ্ট বেশি ছিল। মঙ্গলবারের ঘটনা তাও বাড়িয়ে দিল বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।