সীমান্ত সংঘাতের অনেক আগে থেকেই সীমান্তে বিতর্কিত এলাকায় নিজেদের গ্রাম স্থাপনের কাজ চালাচ্ছিল চিন। এমনই দাবি করলেন তিব্বতি গবেষকদের একটি দল। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) একতরফাভাবে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করার এক বছর আগে থেকেই চিনা কর্তৃপক্ষ সীমান্তে অবস্থিত গ্রামগুলি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল। জানা গিয়েছে, লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের আঞ্চলিক দাবিকে শক্ত করতে এবং ভারতের দিকে নজর রাখতেই সীমান্ত গ্রামগুলি ব্যবহার করার ব্যবস্থা নিচ্ছিল বেজিং।
সীমান্তে চিনা গ্রাম তৈরির এই প্রবণতার বিষযটি নজরে আসে একদল তিব্বতী গবেষকদের। চিনা নীতি বুঝতে একটি হ্যান্ডবুক তৈরি করার জন্য কাজ করেছিলেন এই গবেষকরা। এর জন্য় বিগত দুই বছর ধরে চিনা গতিবিধির উপর নজর রেখে চলেছিলেন গবেষকরা। এই গবেষকদের মূল উদ্দেশ্য, গোটা বিশ্বের সামনে চিনা নীতিকে তুলে ধরা।
আগামী ২ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে ‘ডিকোডিং চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি’নামক হ্যান্ডবুকটি। সেই বইয়ের তথ্য সংকলন করার সময়ই গবেষকদের নজরে আসে যে, সীমান্ত বরাবর শক্তি প্রদর্শন করার উপায় হিসাবে সীমান্ত গ্রামগুলিকে ব্যবহার করার বিষয়ে প্রথম থেকেই ছক কষে রেখেছিল চিন।
২০১৯ সালের অগস্ট থেকে তিব্বতিতে এরকম একটি প্রতিবেদন ছড়িযে পড়ে চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটগুলিতে। সেই প্রতিবেদনটি ছিল ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তবর্তী শিগাৎসে প্রিফেকচারের গেরু গ্রামে সীমান্ত টহল এবং প্রচার কার্যক্রমের বিষয়ে। রিপোর্টে বলা হয়, গেরুতে প্রথম পার্টি সেক্রেটারি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে ফুরবু সোনমকে। রিপোর্টে গেরুকে ‘সীমান্ত প্রতিরক্ষা গ্রাম’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। বলা হয়, ‘আজকাল, গেরুর বাসিন্দাদের সবাই বুঝতে পেরেছেন যে প্রত্যেকেই একজন গুপ্তচর।’ গবেষকরা লাদাখ সীমান্তেও এরকম একাধিক গ্রামের খোঁজ পেয়েছেন। চিনা সেনায় তিব্বতীদের নিয়োগ করে তাদের আনুগত্য লাভের চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। এমনকি গ্রামবাসীরাই সীমান্তে বাইকে করে গিয়ে টহল দিয়ে আসেন এই সব গ্রামে।