বন্যপ্রাণীর মাংস থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। বিজ্ঞানীদের এই অভিযোগ মাথায় রেখে বন্যপ্রাণের কারবারিদের ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার পথ নিয়েছে চিনের একাধিক প্রদেশ।
চিনে বন্যপ্রাণীর কারবারে প্রতিদিন কয়েক কোটি ডলারের ব্যবসা চলে। কিন্তু উহান শহরে কাঁচাবাজারে বিক্রি হওয়া বন্য ও সামুদ্রিক প্রাণীর মাংস থেকে করোনা সংক্রমণের অভিযোগ ওঠার পরে তা বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করছে প্রশাসন।
হংকংযের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহে হুনান প্রদেশে প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, খাদ্যের জন্য বন্যপ্রাণ ব্রিডিংয়ের বদলে ব্যবসায়ীদের অন্য গৃহপালিত পশু পালন উৎসাহিত করা হবে। সরকারি প্রকল্পে প্রতি কেজি সাপের জন্য ১২০ ইউয়ান (১৭ ডলার) এবং প্রতি কেজি বাঁশঝাড়ের ইঁদুরের জন্য ৭৫ ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি সজারু বা ২০০০ সালে সার্স মারণব্যাধি সংক্রমণের উৎস খটাশের জন্য দেওয়া হবে ৬০০ ইউয়ান (৮৪ ডলার)।
সংলগ্ন জিয়াংশি প্রদেশেও আর্থিক ক্ষতিপূরণের বদলে বন্যপ্রাণ চাষিদের থেকে পশু কেনার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। সরকারি জিয়াংশি ডেইলি সংবাদপত্র জানিয়েছে, এই প্রদেশে ২,৩০০ জনেরও বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্রিডার রয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই খাদ্য হিসেবে বন্যপ্রাণী পালন করেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রিডারদের সংগ্রহে থাকা বন্যপ্রাণীর সম্মিলিত মূল্য প্রায় ১৬ কোটি ইউয়ান বা ২২.৫ লাখ ডলার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চিনের সর্বোচ্চ আইন প্রণেতা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দেশজুড়ে বন্যপ্রাণীর কারবার ও মাংস খাওয়ার অব্যাস বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই সপ্তাহেই সরকারি সিদ্ধান্তে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে খাদ্যপণ্য হিসেবে বন্যপ্রাণী সম্পর্কিত সাড়ে সাত লাখেরও বেশি তথ্য মুছে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ১৭,০০০ এই ধরনের পণ্য বিক্রির অনলাইন স্টোরও।