ফের একবার রাষ্ট্রসংঘে পাক মদপুষ্ট জঙ্গির ঢাল হয়ে দাঁড়াল চিন। লস্কর নেতা শাহিদ মেহমুদকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদনে ভেটো দিল চিন। উল্লেখ্য, শাহিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ভারত এবং আমেরিকা যৌথভাবে প্রস্তাব বেশ করেছিল। এই নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থবার কোনও জঙ্গিকে কালো তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াল বেজিং।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার মাথা সাজিদ মীরের অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিল এই শাহিদ। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা৷ সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬০ জনেরও বেশি৷ ২৬/১১-র সেই ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ভারতে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস৷ এই আবহে শাহিদ মাহমুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যৌথ প্রস্তাব পেশ করেছিল আমেরিকা ও ভারত।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেই ইউএপিএ আইনের আওতায় শাহিদ মেহমুদ ওরফে শাহিদ মেহমুদ রেহমাতুল্লাহকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনের প্রধান হলেন এই শাহিদ মেহমুদ। এই সংগঠন আদতে জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবারই একটি শাখা। অন্যদিকে, আমেরিকাও ২০১৬ সালে শাহিদ মেহমুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছিল। এই আবহে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব এনে শাহিদকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চেয়েছিল আমেরিকা ও ভারত। তবে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চিন। বেজিং-এর এই ভূমিকা সমালোচনা করেছে ভারত। এর আগে কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকেও কালো তালিকাভুক্ত ঘোষণা করতে চেয়ে যৌথ প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। সেখানেও একইভাবে বিরোধিতা করেছিল চিন।