সুদর্শন পুরুষ এবং সুন্দরী মহিলাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের শিক্ষার্থীদের এমনই পরামর্শ দিয়েছে চিন। নাহলে দেশের গোপন তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় তা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সম্প্রতি, চিনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়, তার পাবলিক উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে এই সতর্কবার্তা পোস্ট করেছে।
আরও পড়ুন: (আপনারা এটা খেতে পারবেন? নামী দোকানের সিঙ্গারায় মিলল ব্যাঙের পা, পুলিশে খবর দিলেন ক্রেতা)
কীভাবে ফেঁসে যেতে পারে পড়ুয়ারা
চিনের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে যে, শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রেমের ইন্টারেস্ট দেখিয়ে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করতে পারেন সুন্দর মহিলা বা পুরুষেরা। একবার প্রেমের জালে ফাঁসলেই, তাদের অন্য দেশের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করতে বাধ্য করা হতে পারে, বা ভালোবেসে শিক্ষার্থীরা নিজেই এমনটা করতে চাইতে পারেন। এর দরুণ, চিনের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
আরও পড়ুন: (Ayushman Bharat: সত্তরোর্ধ্বদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা, কেন্দ্রের বিমায় আর কী কী সুবিধা)
অধিকর্তারা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে বিদেশী গুপ্তচররা তরুণ শিক্ষার্থীদের কৌতূহল এবং কোনও নতুন জিনিস দেখলে, তাদের মনে যে আগ্রহ জন্মায়, সেই আগ্রহকে কাজে লাগায়। এরই পাশাপাশি তাঁরা সৌন্দর্য্যের সুযোগ নিয়ে প্রেমের জালও বিছিয়ে দিতে পারে। আরও জানা গিয়েছে যে বিদেশী গুপ্তচররা প্রায়শই এমন কয়েকজন কলেজ পড়ুয়াদের টার্গেট করে, যাদের কাছে দেশের কোনও গবেষণা কিংবা কোনও পরিকল্পনার গোপন তথ্য রয়েছে। এই ধরনের তথ্য পেতে, প্রতারকরা অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বা কোনও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্দিষ্ট কোনও সংস্থার কর্মচারী হওয়ার ভান করেন।
আবার সবসময় যে পড়ুয়াদের আগ্রহকেই কাজে লাগিয়ে, বা প্রেমের ফাঁদে ফেলেই প্রতারণা করা হয়, তা কিন্তু একেবারেই নয়। অনেক সময়ই মার্কেট রিসার্চ বা একাডেমিক কোনও সুবিধার নামে উচ্চ বেতনের পার্ট টাইম চাকরির প্রস্তাব দিয়েও তরুণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করেন বিদেশী গুপ্তচররা। আর একবার পড়ুয়ারা আগ্রহ দেখালে, বা তাঁদের ফাঁদে পা দিলে এই গুপ্তচররা সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন কল বা ভিডিয়ো চ্যাটের মাধ্যমে বিনামূল্যে ট্রেনিং এবং পরামর্শ প্রদান করেন। এইভাবে তাঁরা পড়ুয়াদের বিশ্বাস অর্জন করেন এবং শিক্ষার্থীদের থেকে গোপন কিংবা সংবেদনশীল তথ্যও হাতিয়ে নেন।
প্রসঙ্গত, চিনের এজেন্সি এখনও পর্যন্ত কোনও বিদেশি সংস্থার নির্দিষ্ট বিবরণ দেয়নি, যারা শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেছে।