সীমান্তে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানাল চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে শীঘ্রই ভারত-চিনের Working Mechanism for Consultation & Coordination (WMCC)- এর আগামী বৈঠক হবে পরিস্থিতির পর্যালোচনার জন্যে। অন্যদিকে লাদাখে যে পুরো সংঘর্ষ শুরু হয় চিনের মারাত্মক আগ্রাসী আচরণের কারণে, সেটা স্পষ্ট করে জানিয়েছে আমেরিকা।
কোর কম্যান্ডারদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুই সেনাই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত সীমান্তরেখা থেকে সেনা সরাচ্ছে। আপাতত প্রায় ৪ কিলোমিটারের বাফার জোন তৈরী হয়েছে যেখানে দুই দেশের কোনও সেনা নেই। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র সাও লিজিয়ান বলেছেন দুই দেশের সেনা ডিসএনগেজ করেছে। পরিস্থিতি সুস্থির ও ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে বলে তিনি জানান। দুই দেশই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানান মুখপাত্র।
ভারত তাদের সঙ্গে একযোগে উত্তেজনা কমানোর জন্য কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। চিন ঘুরিয়ে ভারতের ওপর দায় চাপাতে চাইলে লাদাখে সংঘর্ষের জন্য যে বেজিং দায়ী, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আমেরিকা।
মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেন যে হালে ভারতের বিরুদ্ধে মারাত্মক আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়েছিল চিন। ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা মারা যান। চিনের তরফ থেকে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
বুধবার চিনকে কার্যত তুলোধনা করেন মার্কিন বিদেশসচিব। তিনি বলেন যে মারাত্মক আগ্রাসন দেখিয়েছি চিন। ভারত সাধ্যমতো জবাব দিয়েছে। সারা বিশ্বেই চিন এরকম সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন মাইক পম্পেও।
তিনি বলেন যে হিমালয় পাহাড় থেকে ভিয়েতনামের এক্সক্লুসিভ জোন, সেনকাকু দ্বীপ থেকে ও অন্যত্র, সব জায়গায় ভূখণ্ড নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে চিন। এই কৌশল সারা বিশ্বের মেনে নেওয়া উচিত না বলেও তিনি জানান।