তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার উত্তরসূরি কে ঠিক করবে? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে চিন ও তিব্বত জুড়ে। কারণ শুক্রবার চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে তাঁরা এই উত্তরসূরি নির্বাচনে অনুমোদন দেবে। এমনকী চতুর্দশ দলাই লামা নিজে তাঁদের উত্তরসূরি পছন্দ করতে পারবেন না। এমনকী যে নীতি শুক্রবার তিব্বতে ঘোষণা করা হয়েছিল তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে চিনের পক্ষ থেকে।
কিছুদিন আগে এই দলাই লামা নির্বাচনে চিন যাতে হস্তক্ষেপ না করে তার জন্য বার্তা পাঠিয়েছিলেন আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু চিন তা আজ কার্যত খারিজ করে দিল। কারণ এদিন শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বলা হয়েছে, দলাই লামা এবং অন্যান্য বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের সরকার অনুমোদন দিয়ে এসেছে। আর তা নিয়ে একটা অর্ডিন্যান্স পর্যন্ত রয়েছে (১৬৪৪–১৯১১)। সুতরাং সেটা মেনেই চলতে হবে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে তিব্বতে।
এখন তিব্বতের ধর্মগুরু চতুর্দশ দলাই লামার বয়স ৮৫। দলাই লামার উত্তরসূরি নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘দলাই লামার উত্তরসূরির নির্বাচন হবে ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠান মেনে। সাক্ষ্যমুণি বুদ্ধ মূর্তির সামনে লাসার জোখাং মন্দিরে হবে।’ ১৭৯৩ সালের আগে যে আইন তৈরি হয়েছিল তা মেনে সরকারের অনুমোদনের জন্য নাম পাঠাতে হবে। দলাই লামা যেটা বলছে, সেভাবে উত্তরসূরি ঠিক হবে না। এই ইস্যুতে এখন তোলপাড় চিন–তিব্বত।