বুদ্ধ গয়ায় দালাই লামার উপর গোয়েন্দাগিরি চালানোর অভিযোগ উঠেছে আগেই। সেই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক চিনা মহিলার ছবিও প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারপরেই এবার চিনকে আক্রমণ করলেন দালাই লামা। তাঁর বার্তা, চিন বৌদ্ধ ধর্মকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে কিন্তু তা সফল হবে না। বুদ্ধগয়ায় কালচক্র ময়দানে তৃতীয় এবং শেষ দিনের সফরে তিনি এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আছে। আমি যখন হিমালয় অঞ্চলে যাই, তখন আমি স্থানীয় লোকজনকে ধর্মের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ হিসেবেই দেখতে পাই। মঙ্গোলিয়া এবং চিনেও এমনটিই হয়। কিন্তু চিন সরকার ধর্মকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।’ তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, চিন সরকার দ্বারা বৌদ্ধ ধর্মের অনেক ক্ষতি করেছে। তার পরেও চিন থেকে বৌদ্ধ ধর্মকে ধ্বংস করা যায়নি। আজও, চিনে বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী অনেক লোক রয়েছে।’ দালাই লামা আরও বলেন, ‘চিন সরকার অনেক বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস করেছে। কিন্তু চিনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা কমেনি।’
তিনি মনে করেন, তিব্বতের বৌদ্ধ ঐতিহ্য পশ্চিমের মানুষের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। অতীতে বৌদ্ধধর্ম শুধুমাত্র এশিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু, আজ এর দর্শন ও ধারণা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক মনো বিজ্ঞানী এই ঐতিহ্যে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্ম শুধু তিব্বতে নয়, চিনেও সরাসরি প্রভাব ফেলে। কারণ চিন একটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দেশ।’ তিব্বত সম্পর্কে বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ এখন তিব্বতীয় বৌদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন।’ উল্লেখ্য, দালাই লামা ২ বছর পর বিহারের বুদ্ধগয়ায় সফর করলেন। তিনি ভারতে আশ্রয় চেয়েছিলেন এবং হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বসতি স্থাপন করেছিলেন। সেটি মিনি তিব্বত নামে পরিচিত। কারণ সেখানে প্রচুর সংখ্যক তিব্বতি উদ্বাস্তু রয়েছেন।