গত জুলাই মাসে চিন একটি হাইপারসনিক অস্ত্র থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। জুলাইয়ে এবং অগস্টে দুটি পৃথক পরীক্ষার সময় চিনা মিসাইলটি নিজের লক্ষ্যের খুব কাছে পৌঁছেছিল। আর চিনা মিসাইলের এই সক্ষমতা দেখে মাথা ঘুরেছে পেন্টাগনের। মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞরা কোনও দিন ভাবতে পারেননি যে কোনও দেশের কাছে এই ক্ষমতা চলে আসবে।
শব্দের চেয়ে অত্যন্ত পাঁচগুণ গতিসম্পন্ন চিনের এই হাইপারসনিক মিসাইল। এই মিসাইলের পরীক্ষার ফলে পেন্টাগনের আশঙ্কা, এমন দিন হয়তো আসবে যেদিন চিন আমেরিকার যেকোনও স্থানে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম হয়ে যাবে। এই প্রথম গোটা পৃথিবী ঘুরে কোনও দেশ হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা করল। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মিসাইল এতটা দ্রুতগতিতে যায় যে রাডারেও ধরা পড়ে না এই অস্ত্রের গতিবিধি।
কয়েকদিন আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল চিনের হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা নিয়ে। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিল খোদ বেজিং। এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মহাকাশে উড়তে সক্ষম পারমাণবিক হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে চিন। গোটা বিশ্বের একপাক খেয়ে চিনের মিসাইলটি লক্ষ্যবস্তু ভেদ করতে ব্যর্থ হয়। পৃথিবীকে নিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে মিসাইলটি লক্ষ্য থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে। হাইপারসনিক গ্লাইড যানটি একটি লং মার্চ রকেটের সাহায্যে উতক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই পরীক্ষণ করা হয়েছিল বিশাল গোপনীয়তা অবলম্বন করে। পরে অবশ্য চিনের তরফে দাবি করা হয়, হাইপারসনিক পারবাণিক মিসাইল নয়, বরং মহাকাশ যানের পরীক্ষা চালানো হয়েছে।