কারাবন্দি অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু। বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে এই অভিযোগ করা হয়েছ। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর আরোগ্য কামনা করে নয়া বছরের শুরুতেই প্রার্থনা সভা আয়োজন করতে চলেছে ইসকন। উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর পরবর্তী জামিন শুনানি আগামী ২ জুনায়ারি। ওইদিন তিনি যাতে জামিন পান, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। এরই মাঝে অভিযোগ উঠেছে, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। কলকাতা ইসকন থেকে এই নিয়ে রাধারমন দাসও সরব হয়েছেন। তিনিই জানান, আগামী ১ জানুয়ারি বিশেষ প্রার্থনার আয়োজনা করা হবে কলকাতার ইসকন মন্দিরে। (আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, 'বন্ধু' হারিয়ে শোক প্রকাশ বাইডেনের)
আরও পড়ুন: 'রহস্যভেদে' মগ্ন হাসিনা, দিল্লি থেকে এবার 'ঘুরে দাঁড়ানোর' বার্তা মুজিবকন্যার!
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে। সেই জনতার ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় অন্তত ১০ জন হিন্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যাতে মামলা না লড়েন, তার জন্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: বাড়ছে না ডিএ, এরই মাঝে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মেমো অর্থ দফতরের)
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত চন্দন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চন্দন দাসই নাকি কিরিচ হাতে আইনজীবীকে কুপিয়েছিলেন। সেই সময় তার পরনে ছিল কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট। কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেল স্টেশনের কাছ থেকে চন্দনকে গ্রেফতার করা হয়। শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ দাবি করে, ঘটনার দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রবিন। বাকি আরও অনেকে সাইফুলকে মারতে থাকেন। পুলিশ দাবি করছে, তারা নাকি খুনের ভিডিয়ো হাতে পেয়েছে। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ দেশে শনাক্ত করা হয়েছে ধৃতদের। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন সেই আইনজীবীকে মারছে। এর মধ্যে দু'জন হেলমেট পরে থাকা ব্যক্তি কুপিয়েছে সাইফুলকে।